ইমরান খানের সরকার পতন।সূত্রের খবর, তিনি ফল ঘোষণা হওয়ার পর ইসলামাবাদ ছেড়ে রাতেই বেরিয়ে গিয়েছেন।

ইমরান খানের সরকার পতন। শনিবার গোটা দিন ধরেই ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে একাধিক মোড় নেয়। তারপর একটা সময় তা পিছিয়ে যায় পাকিস্তানের সময় রাত ৮ পর্যন্ত। ফের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সেখানকার সময় রাত ১২ টার আগেই ভোটাভোটির কাজ শুরু হয়। ৩৪৪ আসনের পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে বিরোধীদের দরকার ছিল ১৭২ ভোটের। কিন্তু শেষঅবধি আরও ৪ টি ভোট বেড়ে তা হয়ে দাড়ায় ১৭৬। ফলে ইমরান খানের সরকার পতন হয়। তবে তিনি গড়লেন এবার নয়া রেকর্ডও পাকিস্তানের বুকে। এর আগে কোনও প্রধানমন্ত্রীকে আস্থা ভোটে হেরে গদি ছাড়তে হয়নি। সূত্রের খবর, তিনি ফল ঘোষণা হওয়ার পর ইসলামাবাদ ছেড়ে রাতেই বেরিয়ে গিয়েছেন।

Scroll to load tweet…

আস্থা ভোটে হেরে পাকিস্তানের ইতিহাসে নাম লেখালেন ইমরান খান। ১৯৪৭ সালে অভিন্ন ভারত ভেঙে দুই টুকরো হওয়ার পর তৈরি হয়েছিল পাকিস্তান। তারপর থেকে এখনও অবধি কোও প্রধানমন্ত্রীই ৫ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারেননি। দেশের সেনাবাহিনীর রোষানলে পড়ে, কখনও আার খুন হওয়ায় বারবারে ফাঁকা হয়েছে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর পদ। এবার ইমরান খানও মেয়াদ ফুরোনোর আগেই সিংহাসন ছাড়তে বাধ্য হলেন। তবে সেই তিনি গড়লেন একটি নয়া রেকর্ডও। এর আগে কোনও প্রধানমন্ত্রীকে আস্থা ভোটে হেরে গদি ছাড়তে হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নয়া পাকিস্থান গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ক্ষমতায় আসলেও, মেয়াদ পূরণ হওয়ার আগেই তাকে, গদি ছাড়তে হল।এদিকে একসময় এই রাজনীতির ময়দানে নিজের জায়গা করে নেওয়ার জন্যই ক্রিকেটের মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। ইমরান খানকে ডুবিয়েছে তাঁর নীতিই, দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি যে সিদ্ধান্ত গুলি নিয়েছিলেন , তা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে আগেই।

পাক সংবাদমাধ্যমের খবর, শনিবার আনাস্থা ভোট করাতে চাইছিলেন না ন্যাশনাল অ্যাসেম্বেলির স্পিকার।যদিও পরে চাপে পড়েই সেই ভোটাভোটিতে রাজি হন তিনি। যদিও ভোট শুরুর পরেই ইস্তাফ দিলেন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বেলির স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার।প্রসঙ্গত আগে থেকেই অনুমান ছিল আর কোনও ভাবেই সরকার টেকাতে পারবেন না ইমরান খান। তাই এদিন ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি তার দল। আনাস্থা ভোট শুরু হওয়ার আগেই পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বেলি ছেড়ে বেরিয়ে যান তেহরিক-এ ইনশাফ পার্টির সাংসদরা। ইমরান খান নিজেও একাবারের জন্য সেখানে হাজির হননি।