সংক্ষিপ্ত
অনাস্থা ভোটের রায় যদি ইমরান খানের বিরুদ্ধে যায় তাহলে তিনি হবেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী যাকে অনাস্থার মাধ্যমে অপরাসিত করা হবে।
শেষ রক্ষা হল না। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা খেলেন ইমরান খান। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছেন ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করা অসাংবিধানিক। আদালত জানিয়েছে জাতীয় সংসদের পুনর্গঠন করা হয়েছে। অবিলম্বে তিনি স্পিকারকে সংসদের অধিবেসন ডাকার আদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি আগামী শনিবার অর্থাৎ ৯ এপ্রিল ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থ ভোট গ্রহণ করারও নির্দেশ দিয়েছে।
পাকিস্তানে এতদিন পর্যন্ত কোনও প্রধানমন্ত্রী মেয়াদ শেষ পর্যন্ত নিজের গদি বাঁচিয়ে রাখতে পারেননি। ইমরান খানের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। তবে অনাস্থা ভোটের রায় যদি ইমরান খানের বিরুদ্ধে যায় তাহলে তিনি হবেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী যাকে অনাস্থার মাধ্যমে অপরাসিত করা হবে। আগের দুই প্রধানমন্ত্রী যাদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল তারা আগেই পদত্যাগ করেছিলেন।
বেশ কয়েক দিন ধরেই পাকিস্তানের রাজনৈতিকে চাপানউতোর চলছিল। গত রবিবার ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তান সংসদে। কিন্ত তার আগেই ইমরানের পরামর্শে রাষ্ট্রপতি পারিস্তানের সংসদ ভেঙে দেন। পাশাপাশি ইমরান খান তিন মাসের মধ্যে দেশে সাধারণ নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়েছিলেন ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন হবে। তাঁর ভবিষ্যৎ কী হবে সেই সিদ্ধান্ত নেমে পাক নাগরিকরা। ইমরান খানের অভিযোগ ছিল পাকিস্তানের রাজনীতিতে তাঁকে কোনঠাসা করা চেষ্টা করা হচ্ছে। পাকিস্তানের বিদেশনীতির জন্য বিদেশী রাষ্ট্রগুলি বিরোধীদের কাজে লাগাচ্ছে। সেই কারণেই সংসদদের কেনাবেতা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সরকারপক্ষের জোট থেকে বেশ কয়েকজন সাংসদ দল বদল করায় জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় ইমরান খান। আগেই বিরোধীরা তাঁর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিল।
ইমরান খানের এই পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক বলে দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। বিরোধীরা স্পিকারের সিদ্ধান্তকেও চ্যালেঞ্জ করে। সেই প্রসঙ্গেই এদিন রায় দায় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিরোধী দলগুলি। আগেই ইমরান খান বলেছিলেন দেশের শীর্ষ আদালত যে রায় দেবে তা তিনি মাথা পেতে নেবেন।