সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তানের ইমরান খান সরকার কাশ্মীর ইস্যুকে আন্তর্জাতিকীকরণের জন্য একাধিক প্রচেষ্টা করেছে। এবার ২০২১ সালের ভোটের আগে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জনসভা থেকে ফের এক প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি। ।

কাশ্মীর পাকিস্তানের সঙ্গে থাকতে চায় না কি একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে থাকতে চায়? এই নিয়ে কাশ্মীরে গণভোট আয়োজন করবে পাক সরকার। শুক্রবার পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে এক জনসভায় এমনটাই জানালেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, কাশ্মীরের জনগণ এক শতাব্দী ধরে '

কাশ্মীরিরা পাকিস্তানের সঙ্গে থাকতে চায় না কি একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে থাকতে চায়? এই নিয়ে কাশ্মীরে গণভোট আয়োজন করবে পাক সরকার। শুক্রবার পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে এক জনসভায় এমনটাই জানালেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, কাশ্মীরের জনগণ এক শতাব্দী ধরে 'মুক্তি'র জন্য যুদ্ধ করেছে। তাই নিজেদের ভাগ্য নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে তাদের।

এদিন  পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর বা পিওকে-র তারার খাল এলাকায় এক সমাবেশে যোগ দিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী জানান, তার সরকার সেখানে দুটি গণভোট পরিচালনা করবে। প্রথম গণভোটে ইমরান সরকার কাশ্মীরিদের কাছে জানতে চাইবে 'তারা পাকিস্তানে যোগ দিতে চায়' কিনা। আর দ্বিতীয় গণভোটে জানতে চাওয়া হবে তারা পাকিস্তানের সঙ্গে থাকতে চায় না স্বাধীন হতে চায়?

পাক সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ জানিয়েছে, এদিন ইমরান খান আরও বলেন, 'আমি বিশ্বকে বলব স্বাধীনতা সংগ্রামে কাশ্মীরি ভাইদের পাশে আছে পাকিস্তান।' এমনকী কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী আবেগকে উসকে দেওয়ার প্রচেষ্টা করতেও ছাড়েননি তিনি। কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে সরাসরি সম্বোধন করে তাঁকে আরও ধৈর্য ধরতে এবং লক্ষ্যে অবিচল থাকার বার্তা দেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এমনকী 'বিজয় নিকটবর্তী' বলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের চাঙ্গা করারও প্রয়াস নিয়েছেন ইমরান।

২০২১ সালেই পিওকে-তে প্রদেশিক নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে এই সমাবেশ সেই নির্বাচনকে মাথায় রেখেই করা বলে মনে করা হচ্ছে। ইমরান খান যতই দাবি করুন না কেন, যে তাঁর সরকার কাশ্মীর ইস্যুকে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে তুলে ধরতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাস্তব হল, পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ সরকার সাম্প্রতিক অতীতে কাশ্মীর নিয়ে সব মঞ্চেই কূটনৈতিক যুদ্ধে পরাজিত হয়েছে। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারত জম্মু ও কাশ্মীর-এর বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার ঘটনা প্রায় সব রাষ্ট্র এমনকী পাকিস্তানের মিত্রশক্তি হিসাবে পরিচিত চিনের দিক থেকেও নীরব সমর্থন পেয়েছে।