ইরানে থেকে পাকিস্তানে ফেরার পথে আটকে পড়েছেন কয়েকশো মানুষপাকিস্তানের কোয়ারেন্টাইন শিবিরে আছেন তাঁরাসেই শিবিরের ব্যবস্থাপনাকে নরকের সঙ্গে তুলনা করছেন তাঁরাসেখান থেকেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ হচ্ছে বলে অভিযোগ 

ইরানে তীর্থ করে দেশে ফিরে আসা কয়েকশো পাকিস্তানি পাকিস্তান-ইরান সীমান্তে আটকে পড়েছেন। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাক সরকার। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে তাঁদের রাখা হয়েছে কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্প বা বিচ্ছিন্নতা শিবির-এ। কিন্তু, এই পাক বিচ্ছিন্নতা শিবিরগুলি যেন একেকটি নরক। যথসামান্য চিকিৎসা পরিষেবা, আর সেইরকমই নোংরা। এই শিবিরে থেকেই করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন আটক নাগরিকরা।

ইরানের সীমান্তবর্তী তাফতান শিবিরে আছেন কয়েকশো মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এইরকম জঘন্য পাক কোয়ারেন্টাইন শিবিরের বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ডেরা গাজী খাঁক-এর এক শিবিরের ভিডিওতে আটকে পড়া নারী-পুরুষকে, নিরাপত্তা কর্মীদের গালিগালাজ করতে দেখা গিয়েছে। শিবিরে বাসিন্দাদের অভিযোগ অসামরিক নাগরিকদের অবস্থা পশুর চেয়েও খারাপ। এই অবস্থায় শিবিরগুলি থেকে বেশ কিছু মানুষ পালিয়েছেন। বাকিদের মধ্যে একাংশ উন্নত অবস্থার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।

Scroll to load tweet…

জানা গিয়েছে, অধিকাংশ শিবিরেই শৌচাগারে জল নেই। করোনাভাইরাস, প্রতিরোধে যেখানে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে বলা হচ্ছে সেখানে পাক কোয়ারেন্টাইন শিবিরে কয়েকদিন পরপর স্নান করার সুযোগ পাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। দিনের পর দিন একই মুখোশ ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে। মেঝেতে এমনকী করিডোরে ঘুমোতে হচ্ছে। কোথাও নোংরার মধ্য়েই কোনওমতে তাঁবু খাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। পচা খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যেও শুধু একটা করে পাতলা কম্বল দেওয়া হয়েছে।এমনকী, আক্রান্ত তীর্থযাত্রীদের থেকে সুস্থদের আলাদা করার জন্য কোনও সরকারি প্রচেষ্টাও এখনও করা হয়নি।

Scroll to load tweet…

সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, মোট ৮,৬০০ জনকে বর্তমানে তাফতানের শিবিরে রাখা হয়েছে। প্রায় ১,৮০০ জনকে দুই সপ্তাহ ধরে বিচ্ছিন্নতা শিবিরে রাখার পর তাদের নিজ নিজ প্রদেশে পাঠানো হয়েছে। এদিকে তাফতানের শিবির থেকে ফেরার পরই দক্ষিণ সিন্ধু প্রদেশের সুক্কুরে, প্রায় ১৭২ জনের দেহে করোনভাইরাস ধরা পড়েছে। পাকিস্তানে এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২৮৬ টি নভেল করোনভাইরাস-এর মামলা ধরা পড়েছে।