সংক্ষিপ্ত
- অধিকৃত কাশ্মীর ছিনিয়ে নেবে ভারত, আশঙ্কায় পাকিস্তান
- আন্তর্জাতিক মহলে নালিশ পাকিস্তানের
- মোদী সরকারের কড়া সমালোচনা
- কাশ্মীরে ফের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ
মঙ্গলবার ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৬৯তম জন্মদিন। মোদীর জন্মদিনেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানান, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একদিন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের হবেই। জয়শংকরের এই মন্তব্যেক হাতিয়ার করেই ফের আন্তর্জাতিক মহলের কাছে হস্তক্ষেপের আর্জি জানাল পাকিস্তান। লিখিতভাবে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতাও করেছে পাক প্রশাসন। জয়শংকরের মন্তব্যকে আন্তর্জাতিক মহল যাতে গুরুত্ব দিয়ে বিচার করে দেখে, সেই আর্জিও জানান হয়েছে পাক বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে।
ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে পাকিস্তান এঁটে উঠতে পারবে না, তা আগেই স্বীকার করেছেন ইমরান খান। এই অবস্থায় জয়ংশকের হুমকি রীতিমত শঙ্কিত করে তুলেছে পাকিস্তানকে। ৭১-এর যুদ্ধের স্মৃতি পাকিস্তানের কাছে খুব একটা সুখকর নয়। পূর্ব পাকিস্তান হারাতে হয়েছিল তাদের। এই অবস্থায় পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিজেদের কব্জায় রাখতে কিছুটা দিশেহারাই ইমরান প্রশাসন। সেই কারণেই কাশ্মীর ইস্যুকে ফের আন্তর্জাতিক মহলে তুলে সহানুভূতি জাগানোর চেষ্টা করছে পাক প্রশাসন। এর মধ্যেই আবার ব্রিটিশ সাংসদ ব্ল্যাকম্যান পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অঙ্গ বলেই মোদী সরকারেরর পাশে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার জয়শংকরের বক্তব্য সামনে আসার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে লিখিত বিবৃতি দিয়েছে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক। যেখানে ছত্রে ছত্রে রয়েছে মোদী সরকারের কড়া সমালোচনা। বিশ্ব দরবারে কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়েও নালিশ জানিয়েছে ইমরান প্রশাসন। এবিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দাবি জানিয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি।
তবে পাকিস্তান কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করলেও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ইমরান প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্রমেই সরব হচ্ছে কন্ঠস্বর। মঙ্গলবার নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে বালোচিস্তান ও পাক নাগরিকদের একাংশ প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পাশাপাশি বালোচিস্তানেন মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার বন্ধ করতে নরেন্দ্র মোদীর কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে।