সংক্ষিপ্ত
রবিবার সকাল এই ঘটনা ঘটনা ঘটে। মেরিন ড্রাইভে স্থাপিত মূর্তির নিচে রাখা ছিল বিস্ফোরক।
পাকিস্তানের ( Pakistan) প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আলি জিন্নার ( Mohammad Ali Jinnah) মূর্তি ( Statue) উড়িয়ে দিল জঙ্গিরা। তবে এই ঘটনা বাইরের কোনও দেশে ঘটনি। খোসা পাকিস্তনেই এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়এছেন পাকিস্তানের বালুচিস্তান ( Balochistan) প্রদেশের উপকূলবর্তী শহর গোয়াদারে (Gwadar) বোমা মেরে সম্পূর্ণ ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে জিন্নার মূর্তি।
পাকিস্তানের সংবাদ পত্রিকা ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে রবিবার সকাল এই ঘটনা ঘটনা ঘটে। মেরিন ড্রাইভে স্থাপিত মূর্তির নিচে রাখা ছিল বিস্ফোরক। বালোচ প্রদেশের গোয়াদার একটি শান্তিপূর্ণ শহর হিসেবেই পরিচিত পাকিস্তানে। এই শহরে এর আগে কখনও এতবড় ঘটনা ঘটেছে। ডনের প্রতিবেদনা বলা হয়েছে, মূর্তিটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
Well of Hell: নরককূপে পা পড়ল মানুষের, দেখুন ভূতুড়ে গুহার রোমাঞ্চকর অভিযানের Video
Bhabanipur Bypoll: কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি, ভবানীপুরে ১৪৪ ধারা জারিসহ একাধিক দাবি
অন্যদিকে বিবিসি উর্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন বালুচ রিপাব্লিকান আর্মির মুখপাত্র বাবগার বালোচ এই বস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনিয়েছেন। স্থানীয় জেলা প্রশাসন আব্দুল কবির খান জানিয়েছেন পুরো ঘটনা উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছেন আগামী দুই থেকে এক দিনের মধ্যেই বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত শেষ হবে। তারপরই কড়া পদক্ষেপ করা হবে। সবদিক থেকেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন প্রশাসন। অপরাধীরাও ধরা পড়বে বলে আশ্বস্ত করেছে পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তানের বালুচিস্তানের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান সেনেটর সফররাজ বগতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন গোয়াদারে কায়েদে আজমের মূর্তি ফেলে ফেলা পাকিস্তানের মতাদর্শের ওপর আঘাত করা। দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলছেন তাঁরা দিয়েরাতের কায়েদ আজম রেসিডেন্সিতে হামলায় যাদের হাত ছিল তাদের শাস্তি দিয়েছেন। তিনি যে অপরাধীদের শাস্তির অপেক্ষার রয়েছেন তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
২০১৩ সালে বালোচ জঙ্গিরা জিন্নার ব্যবহৃত একটি ১২১ বছর পুরনো ভবনে বিস্ফোরণ করেছিল। সেই সময় গোলাগুলি আর বিস্ফোরণের কারণে ভবনটি রীতিমত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাড়িটি প্রায় ঘণ্টা চারেক ধরে জ্বলেছিল। বাড়ির ভিতরের আসবাবপত্র ও জিন্নার স্মৃতি চিহ্ন ও স্মারক প্রায় সবই নষ্ট হয়েগিয়েছিল। জিন্না যক্ষায় আক্রান্ত হওয়ার পর জীবনের শেষদিনগুলিতে সেই বাড়িটিতে ছিলেন। পরবর্তীকালে এটিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ঘোষণা করা হয়েছিল। বালুচিস্তানে গত কয়েক বছর ধরে হিংসার ঘটনা বাড়ছে।