সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তানের সম্মান রক্ষার নামে নৃশংসভাবে খুন 
গুলি করে খুন করা হল ২ কিশোরীকে 
ওয়াজিরিস্তানের ঘটনা
বাকিদের বাঁচাকে তৎপর পুলিশ 

পরিবারের সম্নান বাঁচাতে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্য়া করা হল দুই কিশোরীকে। এই ঘটনা পাকিস্তানের সামীন্তবর্তী এলাকা ওয়াজিরিস্তানে। এই এলাকাটি উপজাতী অধ্যুষিত। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে এক পুরুষের সঙ্গে দুই কিশোরী কথা বলছিল। আর সেই ভিডিও আপলোড করা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই দুই জনকে পরিবারের সদস্যরাই  গুলি করে হত্যা করে বলে অভিযোগ। 

প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছেন গত ১৪ই মে খাইবার পাখতুন প্রদেশের উত্তর ওয়াজিস্থান জেলার শাম প্লেইন গারিয়াম গ্রামে এই গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছিল।   নিহতদের বয়স ১৬ ও ১৮। খুব কাছথেকেই তাঁদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করছে পুলিশ। 

আরও পড়ুনঃ সোমবার সন্ধ্যে রুদ্র মূর্তি ধারণ করবে 'আমফান', দিঘার কাছেই ঘূর্ণি ঝড়ের অবস্থান জানিয়েছে প্রশাসন ...

আরও পড়ুনঃ সুপার সাইক্লোন 'আমফান' পর্যালোচনা বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর, উপকূলবর্তী এলাকায় জারি নিষেধাজ্ঞা ...

প্রশাসন সূত্রের খবর সপ্তাহখানের আগে ৫২ সেকেন্ডের  ভিডিও ফুটেজটি আপলোড করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছিল তিন কিশোরীর সঙ্গে এক পুরুষ কথা বলছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এই সময় তিন কিশোরী একসঙ্গে ছিল। দুই কিশোরীরকে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে। তৃতীয় কিশোরী সম্ভব ছবি তুলেছিল। তাই তৃতীয় কিশোরী বিপদমুক্ত নয় বলেই মনে করছে রাজমলের পুলিশ কর্তারা। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুরুষটির জীবনও আর নিরাপদ নয় বলে মনে করা হচ্ছে। তাই বাকি দুজনকে চিহ্নিত করে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই পুলিশ সূত্রে জানান হয়েছে। 

আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাসও চিড় ধরাতে পারেনি হিন্দু-মুসলিমের বন্ধুতে, ভাইরাল দুই পরিযায়ী শ্রমিকের ছবি ..

অন্যদিনে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালান হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান দুই কিশোরীকে তাঁদের পরিবারের পুরুষ আত্মীয়রাই গুলি করে হত্যা করেছে। পরিবারের সন্মান রক্ষার্থেই এই খুন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনা পাকিস্তানে নতুন কিছু নয়। ২০১২ সালে কোহিস্তানে একটি গানের তালে পা মেলাতে দেখা গিয়েছিল দুই কিশোর কিশোরীকে। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের হত্যা করেছিল পরিবারের সদস্যরা। 


 2 teenage girls murderd for the sake of ho