সংক্ষিপ্ত

মার্কিন বিমানবন্দরে রীতিমত হেনস্থার পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দার। তাঁক মিথ্যাবাদী , চোরও বলা হয়। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ডুলস আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে আশালীন ভাষায় কথা বলেও অভিযোগ উঠেছে।

মার্কিন বিমানবন্দরে রীতিমত হেনস্থার পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দার। তাঁক মিথ্যাবাদী , চোরও বলা হয়। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ডুলস আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে আশালীন ভাষায় কথা বলেও অভিযোগ উঠেছে। 

পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দার বিশ্বের ঋণ সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ওয়াশিংটন গিয়েছিলেন। তাঁর মূল উদ্দেশ্য ছিল আর্থিক সংকটে ভোগা ও বন্যা কবলিত দেশটির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যবস্থা করা। 

বৃহস্পতিবার টুইটারে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মাসুদ খান ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিমান বন্দরে যাচ্ছিলেন তিনি। কথা বলছিলেন পাকিস্তানের আধিকারিকদের সঙ্গে। তখনই তিনি হেনস্থার স্বীকার হন।   তাঁকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকজন চোর চোর স্লোগান দেয়। তাঁকে মিথ্যাবাদীও বলা হয়। এক ব্যক্তি অর্থমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে বলছে, 'তুমি মিথ্যাবাদী , তুমি একজন চোর।'

পাল্টা দারও তার জবাব দিয়েছেন বলে ভিডিওতে দেখা গেছে। 'তুমি মিথ্যাবাদী।'এদিন দারের সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তানের মুসলিম লিগ - নওয়াজ পার্টির ভার্জিনিয়া দলের সভাপতি মণি বাট। তিনিও হেনস্থাকারীদের দিকে তেড়ে যান। তাঁকেও আশালীন ভাষায় কথা বলতে দেখা গেছে। 


৭২ বছর বসয়ী দার সম্প্রতি তার পূর্বসুরি মিফতাই ইসমাইলের কাছ থেকে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্বব্যাঙ্ক ও আন্তর্জাতিক  মুদ্রা তহবিলের বার্ষিক সভায় যোগ দিয়েছিলেন। 


সম্প্রতি পাকিস্তানের ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। তাতে বিধ্বস্ত হয়েছে গোটা দেশ। প্রবল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আর সেই আর্থিক পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিদেশি অর্থের প্রয়োজন। বন্যায় পাকিস্তানে মৃত্যু হয়েছে ১,৭০০ কাছাকাছি। ৩৩ কোটি মানুষ গৃহহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। বিদেশি সাহায্য না পেলে পাকিস্থান আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে না। 
পাকিস্তানের মন্ত্রীদের বিদেশ এমনকি দেশের অভ্যন্তরে সফরে জনসাধারণের জায়গায় ঠাট্টা-বিদ্রুপের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গত মাসে তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেবকে লন্ডনের একটি কফি শপে হেনস্থা করা হয়েছিল। এর আগে, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রী আহসান ইকবালকে একটি রেস্তোরাঁয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের সমর্থকরা হয়রানির শিকার হন।

এপ্রিল মাসে, পাকিস্তানি তীর্থযাত্রীদের একটি দল সৌদি আরবে তাদের তিন দিনের সফরের সময় মদিনার মসজিদ-ই-নববিতে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং তার সফরসঙ্গীদের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত, হেনস্থা এবং স্লোগান দেয়।

পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ এবং অন্যান্য ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এই ঘটনার নিন্দা করেছিলেন এবং কেউ কেউ খানের পিটিআই দলের সমর্থকদেরও দোষারোপ করেছিলেন।