সংক্ষিপ্ত
হরিদ্বারের ধর্ম সংসদে (Haridwar Dharma Sangsad) বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের (Hate Speech) ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল পাকিস্তান। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারে এই ঘটনাকে তারা হাতিয়ার করতে চলেছে।
হরিদ্বারের ধর্ম সংসদে (Haridwar Dharma Sangsad) বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের (Hate Speech) অভিযোগের রেশ গড়ালো আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। গত ১৭ থেকে ২০ ডিসেম্বর হরিদ্বারের বেদ নিকেতন ধামে (Ved Niketan) জুনা আখড়ার (Juna Akhara) যতি নরসিংহানন্দ গিরির (Yati Narasimhanand Giri) আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক ধর্ম সংসদে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণাত্মক বক্তৃতা এবং হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বেশ কয়েকজন বক্তার বিরুদ্ধে। সোমবার, এই বিষয়ে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাক বিদেশ মন্ত্রক (Pak Forreign Ministry)। বোঝাই যাচ্ছে, ভারতে মোদী সরকারের আমলে সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত - এই যে মিথ্যা বয়ান এর আগে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে, এই ঘটনাকে সেই প্রচারের অস্ত্র করা হবে।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতকে বলা হয়েছে হরিদ্বারের ঘৃণাত্মক বক্তৃতাগুলি পাকিস্তানের নাগরিক সমাজ এবং জনগণের একাংশের মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। পাক বিদেশ দফতরের একটি বিবৃতিতে বলেছে, আয়োজকরা এই নিয়ে কোনও দুঃখ প্রকাশ করেনি বা ভারত সরকার যে তাদের বিরুদ্ধে নিন্দা করা বা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি - এটা 'অত্যন্ত নিন্দনীয়'। পাক বিদেশ দফতর আরও বলেছে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে হিংসার অবিরাম ঘটনাগুলি ভারতে 'ইসলামোফোবিয়া' (Islamophobia) অর্থাৎ, ইসলাম বিদ্বেষের ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে তুলে ধরছে এবং ভারতের মুসলমানদের দুরবস্থার এক ভয়াবহ ছবি তুলে ধরছে। পাকিস্তান বলেছে, তাদের আশা, ভারত এই বিদ্বেষপূর্ণ বক্তৃতা এবং সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হিংসার ঘটনার তদন্ত করবে এবং ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, তার জন্য ব্যবস্থা নেবে।
হরিদ্বারের ধর্মসভা থেকে বিদ্বেষমূলক ওই বক্তৃতাগুলির বেশ কটেকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। যার পর, কংগ্রেস (Congress), তৃণমূল কংগ্রেসটি (TMC)-সহ ভারতের বেশ কয়েকটি বিরোধী দল এই বিদ্বেষী বক্তৃতার নিন্দা করেছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এই বিদ্বেষীদের দেশের অভ্যন্তরীন শত্রু বলেছেন প্রাক্তন নৌসেনা ও সেনা প্রধানরা। এই বিষয়ে জিতেন্দ্র নারায়ণ ত্যাগী (Jitendra Narayan Tyagi), সাধ্বী অন্নপূর্ণা-সহ (Sadhvi Annapurna) বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। তবে এখনও তাদের কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি বা অন্য কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। এমনকী, সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ঘৃণা বক্তৃতার সবকটিই ছড়ালেও, পুলিশ জানিয়েছে তারা কোনও ভিডিও পায়নি। এই ঘটনার তদন্তে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে।