সংক্ষিপ্ত

আম হল ফলের রাজা

আম খেতে ভালবাসেন সকলেই

তবে, ডায়াবেটিস রোগীদের এই রসে বঞ্চিত হতে হয়

এবার, তাদের দুঃখের দিন শেষ

আমকে বলা হয় ফলের রাজা। আম খেতে ভালবাসেন না, এমন লোকের দেখা মেলা ভার। তবে, অনেকেই এই রসে বঞ্চিত হন, কারণ এই ফলে শর্করা থাকে অত্যন্ত উচ্চ মাত্রায়। কিন্তু ডায়াবেটিস-এর রোগীদের সেই দুঃখের দিন এবার শেষ। একজন পাকিস্তানি কৃষি বিজ্ঞানীর হাতে তৈরি হল সুগার ফ্রি আম। এখন সেই আম বাজার মাতাচ্ছে সেই দেশের।

জানা গিয়েছে এই আমগুলিতে শর্করার পরিমাণ থাকছে মাত্র ৪ থেকে ৬ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত এই ধরণের তিনটি প্রকারের আম তৈরি হয়েছে - সোনারো, গ্লেন, এবং কেইট। সিন্ধু প্রদেশের তান্ডো আল্লাহাইয়ার এলাকার এমএইচ পানওয়ার ফার্মস নামে এক বেসরকারি কৃষিখামারে এক আম বিশেষজ্ঞ প্রচলিত বিভিন্ন আম-এ বৈজ্ঞানিক পরিবর্তন ঘটিয়ে এই আমগুলি তৈরি করেছেন। জানা গিয়েছে এই এমএইচ পানওয়ার আম-কলা'সহ বিভিন্ন ফলমূল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছিলেন। এর জন্য পাকিস্তান সরকার তাঁকে সিতারা-ই-ইমতিয়াজ খেতাব দিয়েছিল।

তাঁর মৃত্যুর পর পানওয়ারের ভাগ্নে গুলাম সারওয়ার মামার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নিজেও একজন আম বিশেষজ্ঞ। এর আগে বিদেশ থেকে বিভিন্ন ধরণের আমের আমদানি করে তিনি পাকিস্তানের বায়ুমণ্ডলে ও মাটিতে বৃদ্ধি পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পরিবর্তন করে থাকেন। ৩০০ একর খামারে ৪৪ ধরণের আমের গাছ চাষ করেছেন তিনি। আমের নিত্যনতুন জাত তৈরির পাশাপাশি সারওয়ারের মাথায় এসেছিল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য শর্করা নিয়ন্ত্রিত আম তৈরি করার কথা।

এরপরই তিনি ওই তিনটি সুগার ফ্রি আম তৈরি করে ফেলেন। তিনি জানিয়েছেন সাধারণ আমে শর্করার মাত্রা থাকে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ। সেখানে তাঁর খামারে তৈরি কেট জাতের আমে চিনির স্তর মাত্র ৪.৭ শতাংশ।  আর সোনারো এবং গ্লেন জাতের আমে চিনির স্তর থাকে যথাক্রমে ৫.৬ শতাংশ এবং ৬ শতাংশ। আর আমগুলির দামও জনসাধারণের কথা ভেবে তিনি কমই রাখেন। পাকিস্তানি বাজারে এই সুগার ফ্রি আমগুলির দাম পড়ছে কেজি প্রতি প্রায় দেড়শ টাকা।