সংক্ষিপ্ত

সংসদের ডেপুটি স্পিকার এদিন ইমরানের বিরুদ্ধে আনা নো কনফিডেন্স মোশন খারিজ করে দেন। ফলে ইমরান আরও বেশ কিছুটা সময় পাচ্ছেন পাক প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া থেকে বাঁচলেন ইমরান খান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দিল সেদেশের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি। সংসদের ডেপুটি স্পিকার এদিন ইমরানের বিরুদ্ধে আনা নো কনফিডেন্স মোশন খারিজ করে দেন। ফলে  ইমরান আরও বেশ কিছুটা সময় পাচ্ছেন পাক প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার। এদিন অনাস্থা খারিজ করে ডেপুটি স্পিকার বলেন এই পদক্ষেপ অসাংবিধানিক। 

পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুর, ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন এবং এটিকে সংবিধানের পাঁচ নম্বর অনুচ্ছেদের বিরোধী বলে অভিহিত করেন। তবে এখনও ইমরানের রাজনৈতিক ভাগ্য নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ইমরান আপাতত পাক রাষ্ট্রপতিকে সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন। এক টেলিভিশন সাক্ষাতকারে এই ক্রিকেটার-রাজনীতিবিদ নতুন নির্বাচনের জন্য পাকিস্তানের সাধারণ মানুষকে তৈরি হতে বলেছেন। 

তবে পাক সংসদের ডেপুটি স্পিকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন বিরোধী দলের নেতারা। তারাই মূলত পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। তবে পাক বিরোধী দলগুলি আত্মবিশ্বাসী ছিল যে তারা অনাস্থা ভোটে জয়লাভ করবে। উল্লেখ্য ২০১৮ সালে নয়া পাকিস্তান তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসেন পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ বা পিটিআই প্রধান ইমরান খান। এরপর ২০২২ সালে আচমকা ভোলবদল করে পিটিআইয়ের পাশ থেকে সরে দাঁড়ায় দুই শরিক। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইমরানের দল। 

জেনে রাখা ভালো যে বিরোধী দলগুলিকে ইমরান খানকে অনাস্থা ভোটে হারাতে গেলে ৩৪২ সদস্যের জাতীয় পরিষদে ১৭২ সদস্যের সমর্থন জোগাড় করতে হবে। সেখানে বিরোধী দলগুলির দালি, তাদের কাছে ১৭৭ জন সদস্যের সমর্থন রয়েছে। যা প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির চেয়েও বেশি।

গত সপ্তাহেই ইমরান খান ও তাঁর তেহরিক ই ইনসাফ পার্টি পাকিস্তান সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। ৩৪২ আসনের পাকিস্তান সংসদে ক্ষমতা দখলের ম্যাজিক ফিগার ১৭৫। সাত জন সাংসদ দল বদল করায় বিপাকে পড়েছেন ইমরান। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন তিনি একটি স্বাধীন বিদেশনীতি চালু করতে চেয়েছিলিন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তিনি ভারত বিরোধী। 

কাশ্মীর থেকে যখন ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়েছিল তিনি তখন প্রবলভাবে তার বিরোধিতা করেছিলেন। আন্তর্জাতিক স্তরে গিয়ে বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও তিনি ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে চেয়েছিল। কথা প্রসঙ্গে ইমরান খান বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু তারপরেও ভারত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সামনে দাঁড়িয়ে রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি করেছে। তিনি বলেন ভারতের বিদেশনীতি শুধুমাত্র ভারতীয়দের জন্য। তেমনই একটি বিদেশনীতি তিনি পাকিস্তানের জন্য চালু করতে চেয়েছিলেন।