সংক্ষিপ্ত

ইমরান তেসরা এপ্রিল অনাস্থা ভোটে যেতে চলেছেন। তবে আক্রমণ এখানেই থামাননি বিরোধী নেত্রী।

ঘুরে দাঁড়াবেন তিনি। লড়াই না করে জমি ছাড়বেন না। সাফ বার্তা দিয়েছেন পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এরপরেই নতুন করে ধারালো আক্রমণ শানাতে শুরু করেছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। বৃহস্পতিবার দলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মারিয়ম নওয়াজ শরিফ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি নতুন আক্রমণ শুরু করেছেন। 

মারিয়মের বক্তব্য যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশ জুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছেন। বিরোধী নেত্রী জানিয়েছেন যে ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদকে 'গ্যাগড' বা 'মাজলড' করা দরকার। টুইটারে মারিয়ম নওয়াজ শরিফ লিখেছেন, "সত্যি বলতে এই লোকটা একটা তাণ্ডব চালাচ্ছে! দেশকে নিয়ে ঠাট্টা করার আগেই তাকে আটকাতে হবে, নয়তো সবাইকে মুখ থুবড়ে পড়তে হবে।"

কোণঠাসা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উপর আক্রমণের সিরিজ চলছে। ইমরান তেসরা এপ্রিল অনাস্থা ভোটে যেতে চলেছেন। তবে আক্রমণ এখানেই থামাননি বিরোধী নেত্রী। একটি পৃথক টুইটে তার আক্রমণকে আরও বাড়িয়ে তুলেছেন। মারিয়মের দাবি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন নিজেকে প্রমাণ করছেন কেন? তিনি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার যোগ্য নন। তিনি আরও যোগ করেছেন, "এটি প্রতিদিন প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে যে তিনি এই চেয়ারের জন্য উপযুক্ত ছিলেন না।"

এদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ হারাতে চলেছেন ইমরান খান। আগামী ৩ এপ্রিল পাকিস্তানের সংসদে তাঁকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে। কিন্তু তার আগে বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে জ্বালাময়ী ভাষণ দেন ইমরান খান। সেখানেই তিনি দেশের মানুষের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, 'কেন তাঁদের পিঁপড়ের মত বেঁচে থাকতে হবে?' পাশাপাশি তিনি বলেন আগামী রবিবার অর্থাৎ ৩ এপ্রিল এই দেশের সিদ্ধান্ত হবে- এই দেশ কোন দিকে থাকবে। একদিকে থাকবে পাকিস্তানের আগের সরকারের দুর্নীতি অন্যদিকে থাকবে তাঁর সুশাসন।

'সামনে থেকে লড়াই করব', জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে আমেরিকা ও ভারতকে একহাত নিলেন ইমরান

পাকিস্তানে পালাবদল ঘটে গিয়েছে। ক্ষমতাসীন জোটের বড় অংশের বিরোধী দলে যোগদান। এরপরেই বুধবার (৩০ মার্চ) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারান। জাতীয় পরিষদে তার সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করে বিরোধী দলগুলি। ইমরান খানের প্রাক্তন শরিক দল, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তানকে (MQM-P) বিরোধী দলে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান জাতীয় পরিষদের বিরোধী দলের নেতা এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল-এন) সভাপতি শেহবাজ শরিফ।