সংক্ষিপ্ত
জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন ইমরান খান। দেশের রাজনীতি থেকে বিদেশ নীতি সমস্ত প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি। লড়াই থেকে সরছেন না বলেও জানিয়েছেন ইমরান।
পাকিস্তানের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ হারাতে চলেছেন ইমরান খান। আগামী ৩ এপ্রিল পাকিস্তানের সংসদে তাঁকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে। কিন্তু তার আগে বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে জ্বালাময়ী ভাষণ দেন ইমরান খান। সেখানেই তিনি দেশের মানুষের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, 'কেন তাঁদের পিঁপড়ের মত বেঁচে থাকতে হবে?' পাশাপাশি তিনি বলেন আগামী রবিবার অর্থাৎ ৩ এপ্রিল এই দেশের সিদ্ধান্ত হবে- এই দেশ কোন দিকে থাকবে। একদিকে থাকবে পাকিস্তানের আগের সরকারের দুর্নীতি অন্যদিকে থাকবে তাঁর সুশাসন। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন ক্রিকেট খেলতেন, সকলেই জানে তিনি সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য দাঁড়িয়ে থাববেন। সংসদে দাঁড়িয়ে অগ্নিপরীক্ষা দেবেন বলেও জানিয়ে দেন।
ইমরান খান বলেছেন
১. পাকিস্তান একটি সংজ্ঞায়িত মুহূর্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
২. তিনি বলেছেন তিনি ভাগ্যবান- আল্লা তাঁকে খ্যাতি, সম্পদ সবকিছু গিয়েছে। দেশের মানুষের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন পাকিস্তান তাঁর থেকে মাত্র পাঁচ বছরের বড়। তিনি দেশের প্রথম প্রজন্ম।
৩.ইমরান খান বলেছেন তিনি পাকিস্তানের উত্থানের পাশাপাশি দেশের পতন দেখেছেন। যা তাঁকে অপমানিত করে।
৪.ইমরান বলেন ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগে পাকিস্তানের বন্ধ ছিল। কিন্তু দুটি দেশের প্রতি তাঁর কোনও বিদ্বেষ নেই। তিনি দুইটি দেশের নীতির সমালোচনা করেছেন। ইমরান বলেছেন তাঁকে বলা হয়েছিল পাকিস্তান যদি আমেরিকাকে সমর্থন না করে তাহলে সমস্যায় পড়তে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদী হামলা হলেও তাতে পাকিস্তানকে সাহায্য় করতে হবে। ইমরান স্পষ্ট করে দেন পাকিস্তানের যেখানে স্বার্থ নেই সেখানে তাঁর দেশ কাজ করবে কেন।
৫.ইমরান বলেন তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁর দেশের নীতি কারও পক্ষে বা বিপক্ষে হবে না। সেখান থেকেই ভারতের সঙ্গে তাঁর বিরোধ তৈরি হয়। কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ হলেই ভারত তাদের দোষারোপ করে।
৬. ইমরান বলেন এই সময় দাঁড়িয়েও তিনি জানতে পেরেছেন বেশ কিছু বিদেশী শক্তি তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য তৎপর। ইমরান খান যদি প্রধানমন্ত্রী থাকে তার ফল পাকিস্তানকে ভুগতে হবে- এমন কথাও শুনেছেন তিনি।
৭. মোদী প্রসঙ্গেই ইমরান এদিন কথা বলেন। তিনি বলেন, নওয়াজ শরিফ নেপালে গোপনে মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।
৮.ইমরান বলেন তিনি প্রথম থেকেই স্বাধীন বিদেশনীতি চেয়ে এসেছেন। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
৯. আগের সরকারগুলিকে ইমরান সরাসরি দূর্নীতিবাজদের সরকার বলে মন্তব্য করেন।
১০. ইমরান বলেন তিনি সাড়ে তিন বছরে যা করেছেন তা ৩০ বছরেও হয়নি।
ইমরান জানিয়েছেন তিনি পদত্যাগ করবেন না। দেশের স্বার্থে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন।