সংক্ষিপ্ত
ইমরান খানের জায়গায় পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিলেন শেহবাজ শরিফ। তিনি ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা।
ইমরান খানের জায়গায় পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিলেন শেহবাজ শরিফ। তিনি ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগেই ইমরান খান ন্যাশানাল অ্যাসেম্বলির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি বলেছেন চোরদের সঙ্গে তিনি জাতীয় পরিষদে বসবেন না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি জয়ী হন। কারণ জাতীয় পরিষদের এই ভোট বয়কট করেছে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি।
যাইহোক ৭০ বছরের শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই। তিনি এদিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেন। কারণ এদিন ইমরান খানের দল তেহরিক-ই- ইনসাফ ভোটবয়কট করে। যদিও পিটিআই দলের নেতা শাহ মাহমুদ কুরেশিকে দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন। কিন্তু অধিবেশন শুরুর কয়েক মিনিয় আগেই প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন তাঁরা সদলবলে জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগ করবেন। ইমরান খানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন বিদেশী এজেন্ডা তারা পাকিস্তানের সংসদে কার্যকর হতে দেবেন না। সেইকারণেই তাঁরা ভোট বয়কট করবেন। পাকিস্তানে তাঁর সরকার পতনের জন্য ইমরান খান আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন। পাকিস্তানের প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন এদিন দলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে।
এদিন পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কুরেশ বলেন দেশের সামনে দুটি পথ রয়েছে- একটি আত্মসম্মানের অন্যটি দাসত্বের। তিনি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মনোনীত করার মাধ্যমে তার ওপর আস্থা রাখার জন্য প্রশংসা করেন। বলেছেন সাংবিধানিক প্রক্রিয়াটি আজই শেষ হতে হবে। কারণ কাউকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। অন্যজনকে মুক্ত ঘোষণা করা হবে।
তবে শেহবাজ শরিফ ও তাঁর পুত্র হামজা শরিফের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকার দুর্ণীতির মামলা রয়েছে। রয়েছে একাধিক আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগও। আগেই পাকিস্তান আদালত শেরিফ ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধ সব মামলা আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত স্থিগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। বাড়ান হয়েছিল আগাম জামিনের মেয়াদও। পাশাপাশি পিএমএল-এন প্রাধনকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অনুমতিও দিয়েছে।
শনিবার দিনভর টানাপোড়েনের পর ইমরান খান সরকার হেরে যায় আস্থাভোটে। তারপরই বিরোধীরা নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেন শেহবাদ শরিফকে। রবিবারই মনোনয়ন দেন তিনি। তা গৃহীত হয়েছিল ন্যাশানাল অ্যাসেম্বলি সেক্রেটারিয়েক কর্তৃক।