বালাকোট বিমান হামলার পর কেটে গিয়েছে দুই বছরভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের খেলায় নামল পাকিস্তানউইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে নিয়ে প্রকাশ নতুন ভিডিওধরা পড়ে গেল পাক প্রোপাগান্ডা

বালাকোটে বিমান হামলার পর দুই বছর কেটে গিয়েছে। ভারতের এই হামলায় আন্তর্জাতিক মহলে মুখ পুড়েছিল পাকিস্তানের। দুই বছর পর ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের খেলায় নামল তারা। শনিবার পাক সশস্ত্র বাহিনীর মিডিয়া ও জনসংযোগ শাখা বীরচক্র পদকপ্রাপ্ত ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের একটি নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছে। যেখানে ভারতীয় পাইলটকে দুই দেশের মধ্যে শান্তির বিষয়ে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। তবে এই ভিডিও যে প্রোপাগান্ডামূলক, তা সহজেই ধরা পড়ে গিয়েছে।

পাকিস্তানি সংবাদ চ্যানেলগুলিতে ভিডিওটি প্রদর্শন করা হয়েছে। পাক সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই ২ মিনিটের ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান বলছেন, পাক সেনাবাহিনীকে তাঁর অত্যন্ত পেশাদার, বলে মনে হয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ব্যবহারে তিনি অভিভূত বলেও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে অভিনন্দনকে। বস্তুত এই ভিডিওটি প্রকাশ করে পাকিস্তান, তাদের সেনাবাহিনীকে একটি দায়িত্বশীল বাহিনী হিসাবে তুলে ধরতে চাইছে। ভারতীয় পাইলটকে দেশে ফিরিয়ে দিয়ে তারা সেই দায়িত্বশীল আচরণের পরিচয় দিয়েছে, এমনটাই পাকিস্তানের বক্তব্য।

Scroll to load tweet…

উইং কমান্ডার অভিনন্দনের মুক্তির সময়ই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করেছিলেন, এটা একটা 'গুডউইল জেস্চার' অর্থাৎ 'শুভেচ্ছার ইঙ্গিত'। এদিনও ইমরান খান টুইট করে সেই দাবিই করেছেন। তাঁর মতে, 'ধরা পড়া' ভারতীয় পাইলটকে ফিরিয়ে দিয়ে পাকিস্তান বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে তারা কতটা দায়িত্বশীল বাহিনী। পাশাপাশি ভারতীয় বাহিনী-কে 'দায়িত্বজ্ঞানহীন' বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ইমরানের আরও দাবি, পাকিস্তান সবসময়ই শান্তির পক্ষে। আলোচনার মাধ্যমেই সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে তাঁরা প্রস্তুত।

তবে, এই ভিডিও এবং ইমরানের দাবি যে কতটা 'সত্যি', তা সহজেই ধরা পড়ে গিয়েছে। পাক বাহিনীর প্রকাশ করা ভিডিওটি দারুণভাবে সম্পাদিত। অন্তত ১৬টি কাট রয়েছে ভিডিও ক্লিপটিতে। অর্থাৎ কায়দা করে অভিনন্দন বর্তমানের সঙ্গে পাক বাহিনীর অস্বস্তিকর মুহূর্তগুলি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, অভিনন্দনকে মুক্তি দেওয়ার পিছনে পাক সদিচ্ছা নয়, ভারতের হামলার ভয় কাজ করেছিল বলে ইতিমধ্য়েই শোনা গিয়েছে।

Scroll to load tweet…

গত বছর অক্টোবরে, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (PML-N) নেতা সর্দার আয়াজ সাদিক দাবি করেছিলেন, অভিনন্দনকে মুক্তি দেওয়া নিয়ে জরুরি বৈঠক হয়েছিল। সেখানে, অভিনন্দনকে মুক্তি না দিলে ভারত রাতের মধ্য়েই হামলা করবে বলে ভয় পেয়েছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ারও পা কাঁপছিল এবং তিনি দরদরিয়ে 'ঘামছিলেন' বলেও দাবি করেছিলেন সাদিক।