সংক্ষিপ্ত
পাকিস্তানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পাচ্ছেন সৈয়দ আলি শাহ গিলানি
শোনা যাচ্ছে তাঁর নামে নামাঙ্কিত হতে পারে একটি পাক বিশ্ববিদ্যালয়েরও
তাঁর সংগ্রাম পড়ানো হবে পাকিস্তানের পাঠ্যবইতে
কিন্তু কাশ্মীরি এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে কেন এত সম্মান দিচ্ছে পাকিস্তান
কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা তথা হুরিয়ত সম্মেলনের প্রাক্তন প্রধান সৈয়দ আলি শাহ গিলানি-কে, পাকিস্তান তাদের দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক পুরষ্কার নিশান-ই-পাকিস্তান সম্মান দেওয়া হবে। মঙ্গলবার পাক সংসদে এমনই এক প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। শুধু তাই নয় শোনা যাচ্ছে এই পাক-পন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী কাশ্মীরি নেতার নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণও করা হতে পারে। কাশ্মীরে তাঁর সংগ্রামের কাহিনী পাকিস্তানের 'শিক্ষা পাঠ্যক্রম'এও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
পাক সরকারের এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য ৫ অগাস্ট বলেই মনে করা হচ্ছে। গত বছর এই দিনেই ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করেছিল। যার ফলে বিশেষ মর্যাদা হারিয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর। এই রাজ্যকে ভাগ করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়েছিল। এই বছর তার একবছর পূর্তির দিনটিকে কালা দিবস হিসাবে পালন করবে পাকিস্তান এমনটাই জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, কাশ্মীরিদের উপর ভারত অত্যাচার চালাচ্ছে এই মিথ্যা ধারণা তৈরির জন্য সবরকম প্রচার পরিকল্পনা করেছে ইসলামাবাদ। তারই অংশ হিসাবে গিলানি-কে সম্মান জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে কাশ্মীর উপত্যকায় পাকিস্তান-পন্থী প্রচার চালানোর জন্যই পরিচিত ছিলেন গিলানি। চলতি মাসের গোড়াতেই তিনি হুরিয়ত কনফারেন্স-এর প্রধান-এর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। ভারত বিরোধিতায় তাঁকেই জম্মু ও কাশ্মীরের মসিহা হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে ইমরান খান প্রশাসন। জানা গিয়েছে এদিন পাক সংসদে জামাত-এ-ইসলামি দলের সেনেটর মোস্তাক আহমদ গিলানি-কে নিশান-ই-পাকিস্তান সম্মান দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন। পাক সেনেটে ধ্বনিভোটের মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি পাস হয়। প্রস্তাবে বলা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের 'স্ব-শাসন'এর সংগ্রামে, সৈয়দ আলি শাহ গিলানি 'নিঃস্বার্থ ও নিরলসভাবে লড়াই ও ত্যাগ' করেছেন।