সংক্ষিপ্ত
- রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা
- পাকিস্তান ধার চাইতে চলেছে চিনের কাছ থেকে
- চলতি সপ্তাহে পাঠান হবে চিঠি
- ভারত বিরোধিতা করছে চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের
চিনের ওপর আর্থিকভাবে আরও নির্ভরতা বাড়াচ্ছে পাকিস্তান। করোনা মহামারির কারণে যেখানে বিপর্যস্ত পাকিস্তানের অর্থনীতি, সেখানে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আরও একবার শিং জিংপিং-এর কাছে হাত পাততে চলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। একটি সূত্রের খবর পাকিস্তান চিনের কাছ ২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ চাইতে পারে। মূলত পাকিস্তানের অর্থনৈতিক করিডোর সিপিসি এর মেইনলাইন ১ নম্বর প্রকল্পের ১ নম্বর প্যাকেজ নির্মাণের জন্যই এই টাকা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন এমএল-১ প্রকল্পের অর্থায়ন কমিটির ষষ্ঠ বৈঠকে পেশোয়া থেকে করাচি পর্যন্ত ১,৮৭২ কিলোমিটার রেলপথের উন্নয়ন দুটি ট্র্যাক তৈরির কাজে এই টাকা খরচ করা হবে। সূত্রের খবর পাকিস্তান মার্কিন ডলার দেওয়ার জন্যই চিনের কাছে সুপারিশ জানাবে।
সূত্রের খবর আগামী সপ্তাহেই পাকিস্তান চিঠি লিখে চিনের কাছে টাকা চাইতে পারে। কারণ বেজিং চলতি মাসের শেষের দিকে তাদের আগামী বছরের অর্থনৈতিক পরিকল্পার একটি খসড়া চূড়ান্ত করতে পারে। আর সেই কারণে আর আগেই ধারের অঙ্ক জানিয়ে দিতে উদ্যোগ নিয়ে পাকিস্তান। চলতি বছরই পাকিস্তান এক শতাংশ হারে চিনের কাছ থেকে একটি দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ চেয়েছিল। কিন্তু সেই ইমরানের সেই অনুরোধে এখনও পর্যন্ত কোনও সাড়া দেয়নি শি জিংপিং। পাকিস্তান ১ শতাংস হারে সুদ দেবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু চিন আরও বেশি পরিমাণে সুদ চাইতে পারে বলেই দাবি করছে সূত্র।
মে মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানি দ্যা ডিপ্লোম্যাট নামের একটি প্রবন্ধে লিখিছেন চিনের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রাখতে পাকিস্তানের প্রত্যাশা মত ৬২ মার্কিন বিলিয়ন ডলারের সিপিইসি তৈরি হয়েছে। যার মধ্যে একটি অবকঠামোগত প্রকল্প রয়েছে। এর ব্যয় সম্পর্ণ স্বচ্ছ বলেও তিনি দাবি করেছেন। কিন্তু বাকি গুলি নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি পাকিস্তান। পাকিস্তান্তের পরমাণু কর্মসূচিকে চিন ধারাবাহিকভারে কৌশলগত সমর্থন করছে বলে একাধিকবার অভিযোগ তুলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হাক্কানির অভিযোগ, চিন পাকিস্তানকে নয় মূলত সাহায্য নিজের দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতেই একাজাতীয় একাধিক পদক্ষেপ করছে। এই প্রকল্পের আওয়াত রয়েছে ১০০ বিলিয়নের এইটি বিদ্যুৎ প্রকল্প। যেটি পাকিস্তানকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সাবলম্বী করে তুলবে বলেও মনে করা হচ্ছেয
ভারতের অবস্থান
চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর নিয়ে বরাবরই প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। এখনও নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছে ভারত। এবছর গোড়ার দিকে বিদেশ মন্ত্রক পাকিস্তানকে গিলগিট বাল্টিস্থানসহ পুরো জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের অধিকার ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। বলেছে এই পুরো এলাকাটি ভারতের একটি অবিচ্ছদ্য অংশ। ইসলামাবাদ যেন অবিলম্বে তার অবৈধ দখলে থাকা অঞ্চলগুলি খালি করে দেয়।