সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বেশ কয়েক দিন ধরেই ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তিনি ভারতের বিদেশ নীতির প্রশংসা করেছেন। তিনি আরও আরও বলেছেন ভারতের ওপর কেউ চাপ তৈরি  করতে পারে না। ইমরান খানের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন মারিয়াম। 

পাকিস্তানের বিরোধী নেত্রী মারিয়ম নওয়াজ শরিফ ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব এড়াতে ও নাশকতার চেষ্টা করার জন্য তীব্র সমালোচনা করেছে। শনিবার সকালে জাতীয় পরিষের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও প্রস্তাব পেশ করা হয়নি। অন্যদিকে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এদিনই পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমান দিতে হবে ইমরান খানকে। বৃহস্পতিবারই সেদেশের  সুপ্রিম কোর্ট সংসদ ভেঙে দেওয়া আর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সাধারণ নির্বাচনের কথা ঘোষণা- দুটিকেই অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছে। 

অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বেশ কয়েক দিন ধরেই ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তিনি ভারতের বিদেশ নীতির প্রশংসা করেছেন। তিনি আরও আরও বলেছেন ভারতের ওপর কেউ চাপ তৈরি  করতে পারে না। ইমরান খানের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন মারিয়াম। তিনি বলেছেন, ইমরান খান যদি ভারতকে এতটাই পছন্দ করে তাহলে তিনি অবিলম্বে ভারতে গিয়ে থাকতে পারেন। ইমরান খান ভারতে যাচ্ছেন না কেন- এমনই প্রশ্ন করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাওয়াজ শরিফের মেয়ে মারিয়াম। 

মারিয়াম বলেছেন, ইমরান খান এখন একজন এমন ব্যক্তি হয়ে গেছেন, বর্তমানে যাঁর আর কোনও বোধশক্তি নেই। তাই তাঁকে আর গোটা দেশ ধ্বংস করার অনুমতি দেওয়া যায় না। এখানেই শেষ নয়। মারিয়াম কড়া ভাষায় ইমরান খানের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন এখন আর ইমরান খানকে বর্তমান বা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চিহ্নিত করা ঠিক নয়। তিনি ইমরান খানকে সাইকোপ্যাথ হিসেবে বিবেচনা করতে আবেদন জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন ইমরান এখন শুধুমাত্র নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন আর তার জন্য গোটা দেশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। 

তিনি আরও বলেছেন এক পাগলের জন্য দোটা দেশ স্তব্ধ হয়ে গেছে। থেমেগেছে যাবতীয় কর্মকাণ্ড। ২২ কোটির দেশ ইমরানের পাগলামির জন্য গত এক সপ্তহ ধরে সরকারবিহীন অবস্থায় রয়েছে। ইমরান খান সংবিধানের নির্দেশকে লঙ্ঘন করেছেন। সুপ্রিম কোর্টকেও অবজ্ঞা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

পাকিস্তানের বিরোধী দলে নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল এদিন স্পিকার আসাদ কায়সারের সঙ্গে দেখা করেন। সেই সময়ই তাঁরা জানিয়ে দেয় দুপুর ১২টা নাগাদ তাঁরা ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থ প্রস্তাব আনবেন। সেই সময় এদিন পাকিস্তানের সংসদের অধিবেশন শুরু হয়েছে। সেখানেই আলোচনা হচ্ছে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে। 


তবে এদিন বিরোধী দলগুলির সঙ্গে স্পিকারের আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। সেই কারণে নামাজের পরই শুরু হয় জাতীয় সংসদের অধিবেশন। এদিন সকালে ১০.৩০ অধিবেশন শুরু হয়েছিল। দুপুর ১২টা নাগাদ তা মুলতবি করে দিয়েছিলেন স্পিকার। তবে এদিন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সকালের দিকে সংসদে উপস্থিত হননি।