সংক্ষিপ্ত
আশরাফ ঘানির সঙ্গে কথা বলতে রাজি নয় তালিবানরা। আফগানিস্তান নিয়ে ইমরান খানের মন্তব্য নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধছে।
মার্কিন সেনা যতই সরে যাচ্ছে তাতই আফগানিস্তান দখলের পথ প্রসস্থ হচ্ছে তালিবানদের। মার্কিন রিপোর্ট অনুযায়ী আর মাত্র ৯০ দিনের মধ্যেই কাবুল দখল করে নিতে পারে তালিবানরা। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আবারও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমরান খান তালিবানদের হয়েই কথা বললেন। ইসলামাবাদে বিদেশি সাংবাদিদের মুখোমুখি হয়ে তিনি আফগানিস্তান প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য় করেছেন। তিনি বলেছেন আশরফ ঘানি যতদিন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট থাকবেন ততদিন তালিবানরা আফগান সরকারের সঙ্গে কোনও কথা বলবে না।
পাকিস্তানের দ্যা নিউজ ইন্টারন্যাশানাল বলেছে, ইমরান খান নাকি বলেছিলেন তিনি গত তিন চার মাস ধরে তালিবানদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য রাজি করাতে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। কিন্তু তালিবানদের একমাত্র শর্ত হল আশরাফ ঘানি যতক্ষণ আফগান প্রেসিডেন্ট থাকবেন ততক্ষণ তাঁরা কথা বলবে না আফগান সরকারের সঙ্গে। অর্থাৎ আশরাফ ঘানি যতদিন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট থাকবেন তত দিন তালিবার আফগান কোনও আলোচনা হবে না। আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ চলতেই থাকবে। যদিও এজাতীয় মন্তব্য করে ইমরান খানা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তালিবানদের সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের যোগাযোগ রয়েছে।
তালিবানদের দখলে ভারতের Mi 35 হেলিকপ্টার, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে সেই ভিডিও
মোদী জি ভয় পেয়েছেন, টুইটার অ্যাকাউন্ট 'লক' করায় কংগ্রেসের নিশানায় প্রধানমন্ত্রী
'টুইটারে কী হচ্ছে?', ডেরেকের বার্তায় কংগ্রেস-তৃণমূলের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলের ইঙ্গিত
বেশ কয়েক দিন ধরেই আফগান সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তালিবানদের মদত দেওয়ার অভিযোগ করেছিল। যদিও সেই সময় ইসলামাবাদ জানিয়েছিল তারা কোনও ভাবেই তালিবানদের মদত করছে না। আফগান সরকারের পাশাপাশি সেই দেশের নাগরিকরাও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। তালিবানদের অগ্রগতির কারণে দেশের নাগরিকদের দুর্ভোগের জন্য পাকিস্তানকে দায়ি করা হয়েছে। অন্যদিকে যদি আলিবানরা আফগানিস্তানের ওপর দখল যত বাড়াচ্ছে ততই নৃশংসতা প্রকাশ পাচ্ছে। প্রকাশ্যে মধ্যযুগীয় বর্বরতায় খুন করা হচ্ছে বহু মানুষকে। কায়েম হচ্ছে তালিবানি শাসন। যা নিয়ে রীতিমত আতঙ্কিত সাধারণ আফগান নাগরিকরা।