পাক মিউজিয়ামে জায়গা পেলেন অভিনন্দন তবে সম্মানীয়ভাবে নয় তাঁকে আটক করাটা পাক বায়ুসেনার সাফল্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে ভারতীয় পাল্টা মোক্ষম জবাব দিলেন 

এই ধরণের জঘন্য ও উদ্ভট প্রচার একমাত্র পাকিস্তানেই সম্ভব। করাচিতে পাক বায়ুসেনার একটি যুদ্ধ সংক্রান্ত মিউজিয়ামে তাদের সাফল্যে তুলে ধরতে বসানো হল ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের একটি মূর্তি। মূর্তি না বলে তাকে ম্যানিকুইন (জামা কাপড়ের দোকানে যে পুতুলগুলি দেখা যায়) বলাই ভাল।

Scroll to load tweet…

পাকিস্তানের সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকার আনোয়ার লোধি সেই ম্যানিকুইনের একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতে হানা দিয়েছিল পাকিস্তানের এফ-১৬ বিমান বহর। তাদের একটি বিমান গুলি করে নামানোর পর পাল্টা পাক সেনার গুলিতে ভেঙে পড়ে অভিনন্দন বর্তমানের মিগ-১ বিমান। পাক সেনার হাতে বন্দি হন উইং কমান্ডার অভিনন্দন। পরে অভিনন্দনকে ১ মার্চ আট্টারি -ওয়াঘা সীমান্তে মুক্তি দেয় পাকিস্তান।

লোধি ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেন: মিউজিয়ামে অভিনন্দনের মূর্তিটির হাতে এককাপ দুর্দান্ত চা দিলে এটি আরও আকর্ষণীয় হত। অভিনন্দনের প্রসঙ্গ এলে চায়ের প্রসঙ্গ বারবার টেনে আনে পাকিস্তান। অভিনন্দনের মুক্তির পর পাক সামরিক বাহিনীর প্রকাশিত একটি ভিডিওতে অভিনন্দনকে চা খেতে দেখা গিয়েছিল। পাক সেনাবাহিনীর প্রশ্নের উত্তরে এক পর্যায়ে তাঁকে সেই চায়ের প্রশংসাও করতে শোনা যায়।
এরপর ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে পাকিস্তানের একটি টিবি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনেও অভিনন্দনের মতো একজনকে সাজিয়ে এই চা কাওয়ার প্রসঙ্গের অবতাড়না করা হয়েছিল। যার তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার একবার ফের ভারতকে ঠুকতে গিয়ে কুরুচির পরিচয় দিল পাকিস্তান।

Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…

অভিনন্দন বর্তমান ভারতের যুদ্ধ-নায়ক। কাজেই পাকিস্তানের করা এই জঘন্য অপমানের পাল্টা দিতে ছাড়েননি ভারতীয়রা। অনেকেই মনে করিয়ে দিয়েছেন ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কথা। বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারতীয় সেনা। ভারতের দাপটে একসঙ্গে ৯৩০০০ পাক সেনা আত্মসমর্পন করে। ভারতীয়রা সেই প্রসঙ্গ তুলে বলেছেন, তাদের মূর্তি বানিয়ে সাজিয়ে রাখতে হলে, আস্ত একটি মিউজিয়ামই লেগে যেত। পাকিস্তান এই কথা যেন ভুলে না যায়।