সংক্ষিপ্ত
- সন্তান কে প্লে স্কুলে দেওয়ার সময় এই বিষয়গুলি অবশ্যই মনে রাখুন
- আপনার শিশু স্কুলে যাওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত কিনা
- শিশুর ব্যক্তিত্ব বুঝতে হবে অভিভাবদের
- আড়াই বছরের আগে কখনোই প্লে-স্কুলে ভর্তী করা উচিত নয়
একটা সময় ছিল যখন প্লে-স্কুলের মতো কোনও সংস্থা ছিল না। পাড়ার ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা একসঙ্গে খেলত। একই সময়ে, পাড়ার শিশুরা এক সঙ্গে খেলতে খেলতেই ব্যবহার, মানিয়ে নেওয়ার মত ছোট ছোট জিনিসগুলি শিখত। তবে বর্তমানে সময় বদলেছে। এখন প্রি-স্কুল, বা প্লে-স্কুল এর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। এখন অনেক অভিভাবক তার সন্তানদের এই প্লে স্কুলে ভর্তি করছেন। তবে শিশুকে স্কুলে পাঠালেই হল না, তার আগে আপনাকে জানতে হবে আপনার সন্তান প্রি-স্কুলিং-এর জন্য প্রস্তুত কি না। তাই সন্তান কে প্লে স্কুলে দেওয়ার সময় এই বিষয়গুলি অবশ্যই মনে রাখা উচিত। তবে সবার আগে এটা মনে রাখবেন আপনার সন্তানকে আড়াই বছরের আগে কখনোই প্লে-স্কুলে ভর্তী করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন- ২২ ক্যারেট সোনার দামে ভারি পতন, জেনে নিন আজকের দর
আরও পড়ুন- আবহাওয়া পরিবর্তনেও চুল থাকবে ঝলমলে, রইল ১০ টিপস
ব্যক্তিত্ব- প্রথমত, স্কুল সম্পর্কে কিছু জানার আগে আপনার শিশু স্কুলে যাওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত কিনা তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। তার ক্ষমতা, তার শক্তি এবং দুর্বলতা এবং তার ব্যক্তিত্ব বুঝতে হবে অভিভাবকে। কিছু শিশু যেমন অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতে ভালোবাসে। আবার অনেক শিশু লাজুক প্রকৃতির হয় এরা একা থাকতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
বয়স- প্রতিটি শিশুর আড়াই বা তিন বছর বয়সে স্কুলে যাওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে না। এ কারণেই বেশিরভাগ অভিভাবকরা এই ধরনের প্লে-স্কুল পছন্দ করেন যেখানে বাচ্চারা পড়ার ভয়ে নয় খেলার মাধ্য়মেই প্রাথমিক বিষয়গুলি শেখে নিতে পারবে। প্রি-স্কুল প্লে-স্কুলগুলি শিশুদের প্রয়োজনীয় সামাজিক দক্ষতা শেখায়, যেমন নির্দেশাবলী অনুসরণ করা বা অন্যান্য বাচ্চাদের সঙ্গে মিলে মিশে থাকা ইত্যাদি।
আরও পড়ুন- প্রিমিয়ার ডিজিটাল সমাজ হওয়ার পথে ভারত, মুকেশ আম্বানি
কার্যকলাপ - প্লে স্কুল হল এমন একটি জায়গা যেখানে পড়াশুনোর ভয় নয় বরং খেলার ছলেই শেখানো হয় অনেক কিছু। খেলার গুরুত্বটাই এখানে প্রধাণ। কারণ এত ছোট বয়স থেকে অধ্যয়নের বিষয়ে দ্রুত বিরক্ত এসে পড়লে ভবিষ্যতে আপনাকেই সমস্যায় পড়তে হবে। এইরকম পরিস্থিতিতে, আপনার বাচ্চাদের জন্য যে স্কুলটি আপনি বেছে নিচ্ছেন, সেখানে অন্যান্য ক্রিয়াকলাপগুলি রয়েছে বা খেলাধুলার জন্য দিনের কতটা সময় দেওয়া হচ্ছে তা দেখতে গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানের সঠিক বিকাশের জন্য এই সময় শিক্ষা নয় আপনার সন্তানের ভালো লাগছে কি না সেই বিষয়ে নজর রাখুন।
তালিকা গঠন- বাচ্চার জন্য স্কুল নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবার প্রথমে একটি তালিকা তৈরি করুন। আর তা হল আপনার প্রয়োজন বা নার্সারি বা প্রাক-স্কুল বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কী পছন্দ করবেন সেই অনুযায়ী একটি তালিকা গঠন করুন। যেমন, আপনার বাড়ি থেকে দূরত্ব, স্কুলের শিক্ষামূলক খ্যাতি, কীভাবে শৃঙ্খলা বজায় রাখা হয়, বাচ্চাদের অনুপাতে কতজন শিক্ষক রয়েছেন, স্কুলের ফি কত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষণাবেক্ষণ, সুরক্ষা ব্যবস্থার স্থিতি ইত্যাদির একটি তালিকা তৈরি করুন এর পরে আপনার পছন্দ মত বেছে নিন।
স্কুল সম্পর্কে জানুন- আপনি যে স্কুলগুলিকে তালিকাভুক্ত করেছেন সেগুলি সম্পর্কে বিশদে জানুন। তাদের ওয়েবসাইট দেখুন। বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা শিশুদের পিতামাতার সঙ্গে প্রয়োজনে আলোচনা করুন। বিদ্যালয়ে যান এবং পরিস্থিতির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিন। স্কুলের টিচিং বা নন টিচিং স্টাফরা বাচ্চাদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করেন সেই বিষয়ে খোঁজ খবর নিন।