সংক্ষিপ্ত
স্কুলের গণ্ডি পার করেই হোক কিংবা তার আগে, ধূমপানের (Smoking) নেশা করছে অনেকে বাচ্চা। এই ধূমপানের নেশা আপনার বাচ্চাকে গ্রাস করার আগে তাকে রক্ষা করুন।
ধূমপান (Smoking) স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, একথা জেনেও অনেকেই নিয়মিত ধূমপান করেন। গবেষণা বলছে, সিগারেটে নিকোটিন সহ ৫২ রকমের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ আছে। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ২০১০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ১৯২ টি দেশে গবেষণা করেছিল। যেখানে জানা যায়, ধূমপানের জন্য বিশ্বে প্রতি বছর ৬,০০,০০০ মানুষ মারা যাচ্ছেন। এর মধ্যে ১,৬৫,০০০ সংখ্যাক শিশু (Children)। বর্তমানে বাচ্চাদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বেশ দেখা যাচ্ছে। স্কুলের গণ্ডি পার করেই হোক কিংবা তার আগে, ধূমপানের (Smoking) নেশা করছেন অনেকেই। এই ধূমপানের নেশা আপনার বাচ্চাকে গ্রাস করার আগে তাকে রক্ষা করুন। বাচ্চাকে আগে থেকে সতর্ক করুন। মেনে চলুন এই কয়টি টিপস।
বাচ্চার ধূমপান (Smoking) করছে আঁচ করতে পারলে তার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা (Discuss) করুন। রাগ করা বা মারধর করার মতো, আচরণ করবেন না। তার সঙ্গে ধূমপান বিষয়টি নিয়ে সহজ হন। বন্ধুর মতো আলোচনা করুন। জানার চেষ্টা করুন সে নিয়মিত ধূমপান করছে কি না। কার থেকে বাচ্চার মনে ধূমপানের আগ্রহ জন্মাল তা জানার চেষ্টা করুন। কাদের সঙ্গে থেকে এই স্বাভাব সে রপ্ত করেছে তা জানুন। তবেই, এই সমস্যা থেকে বাচ্চাকে রক্ষা করতে আপনার সুবিধা হবে।
ধূমপান করলে নানা রকম শারীরিক জটিলতা (Health Issue) দেখা দেয়। বাচ্চাকে সেই সকল শারীরিক জটিলতার কথা বলুন। তাকে বোঝান। প্রতিবছর ধূমপানের জন্য কত লোক প্রাণ হারাচ্ছে বলুন। এমনকী, এই রোগ শরীরে কী কী ক্ষতি করছে, সেটা বোঝান। কেন ধূমপান করতে বারণ করা হয়, সে বিষয় বোঝান। তাকে উদাহরণ দিন। দেখবেন, ধূমপানের প্রতি আগ্রহ কমবে। ইন্টারনেটে (Internet) সব ধরনের তথ্য পেয়ে যাবেন। বাচ্চার সামনে সেগুলো রাখুন। ধূমপান কীভাবে শরীরের একের পর এক অংশ ক্ষতি করে তা বাচ্চাকে বোঝান। দেখবেন, সে নিজে থেকেই এই অভ্যেস ত্যাগ করবে।
নিয়মতি ধূমপান (Smoking) করলে কত খরচ হয় তা বাচ্চাকে বলুন। খরচের হিসেব করতে শেখান। সেই অর্থ দিয়ে সিগারেট না কিনে আর কী কী করতে পারে তা বলুন। অধিক খরচের কথা ভেবে সে নিজেই এই অভ্যেস ত্যাগ করতে পারে। তবে, তাকে বকা দেবেন না। এতে সে লুকিয়ে ধূমপান করবে। এক্ষেত্রে বাচ্চারই ক্ষতি। তাই বুদ্ধি করে বাচ্চার সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করুন।