সংক্ষিপ্ত
- সংক্রমণ রোধে বাড়িতে থেকে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে
- এমন পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ মানুষ ছিল ঘরবন্দী
- এদিকে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যাও
- এই ঘরবন্দির জেরে বৃদ্ধি পেয়েছে কনডম, গর্ভনিরোধক পিল এবং সেক্সটয়ের চাহিদা
করোনার ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বাড়িতে থেকে সামাজিক দূরত্ব এবং লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ মানুষ ছিল ঘরবন্দী। ধীরে ধীরে শিথিল হচ্ছে লকডাউন। এদিকে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যাও। আর এই ঘরবন্দির জেরে বৃদ্ধি পেয়েছে কনডম, গর্ভনিরোধক পিল এবং সেক্সটয়ের চাহিদা। সমীক্ষার ফলে জানা গিয়েছে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২৪ থেকে ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি দেখিয়েছে এর চাহিদা। একটি শীর্ষস্থানীয় ই-বাণিজ্য সাইটের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানা গিয়েছে লকডাউনের ফলে কনডম এবং গর্ভনিরোধক বড়ি এবং সেক্সটয় এর অনলাইন বিক্রয়ও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
লকডাউনের আগে অবধি অনলাইনে এই সমস্ত প্রোডাক্ট বিক্রির যা চাহিদা ছিল, রাতারাতি সেই চাহিদা আকাশ ছোঁয়া বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের মধ্যে ব্যাঙ্গালুরু, দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের মত শহরাঞ্চলেও এর চাহিদা ছিল আকাশ ছোঁয়া। এই বিষয়ে পুরুষের থেকে মহিলারা রয়েছে এগিয়ে। ই-কমার্স সাইটগুলিতে মহিলাদের সেক্সটয় এর অনুসন্ধানে ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। লকডাউনে অনলাইন সাইট থেকে পুরুষদের জন্য ৬০ শতাংশ সেক্সটয় এবং মহিলাদের জন্য ৪০ শতাংশ সেক্সটয় বিক্রয় বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন একদল গবেষকদের মতে অবশ্য এই সময় করোনা পরিস্থিতিতে শারীরিক বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সেক্সটয় এর ব্যবহার উপযুক্ত। এতে অন্তত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বিশ্ব জুড়েই এই সেক্সটয়-এর চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে লাভনেস লুশ সেক্সটয় বিক্রয় সাইট থেকে প্রতিটি শহর পিছু ২২,৯৯৯ টাকার প্রায় ১৫০০-২৫০০ টি করে সেক্সটয় বিক্রয় হয়েছে। লাভনেস লুশ নামক এই অ্যাপটি বিশ্বের যে কোনও দেশ থেকে যে কোনও জায়গায় অনলাইনে সেক্সটয় ডেলিভারী দেয়। যার ফলে এই সাইটের জনপ্রিয়তাও বেশি। এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সেক্সটয় সন্ধানকারী একটা বিপুল অংশের মধ্যে বেশিরভাগই হল 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' কর্মী।