সংক্ষিপ্ত
গোটা বিশ্ব যখন বিয়ে-প্রেম বা অনেকক্ষেত্রে লিভ ইন সম্পর্কের জন্য অনলাইন ডেটিং অ্যাপের জন্য নির্ভরশীল- তখন সম্পূর্ণ অন্যপথে হাঁটল জাপান।
গোটা বিশ্ব যখন বিয়ে-প্রেম বা অনেকক্ষেত্রে লিভ ইন সম্পর্কের জন্য অনলাইন ডেটিং অ্যাপের জন্য নির্ভরশীল- তখন সম্পূর্ণ অন্যপথে হাঁটল জাপান। সম্প্রতি সেই দেশে চালু হয়েছে প্রেম পত্র লেখার মাধ্যমে ডেটিং অ্যাপ। নতুনের মধ্যে পুরনোকে মিশিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া।
দ্যা গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে জাপানের মিয়াজাকি শহরের শত শত পুরুষ ও মহিলাকে এই সফল ম্যাচমেকিং স্কিমে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। যারা চিঠি লিখে ধার্যসহকারে সঙ্গীর চিঠির জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে প্রেম পত্র লেখার এই স্কিমটি মূলত চালু করা হয়েছে জাপানে জন্মের হার বৃদ্ধির জন্য। মূলত যারা সন্তান চান তাদের জন্যই এই স্কিমটি প্রযোজ্য। যাইকোহ এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৪০০জন এই স্কিমে নাম নথিভুক্ত করেছে। যারদের ৭০ শতাংশেরই বয়স ২০-৩০এর মধ্যে।
সংস্থার এক কর্তা জানিয়েছেন এটি অনলাইন ডেটিং-এর থেকে বেশি সময় নেয় জীবনসঙ্গীকে খুঁজে নিতে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া অনেকটাই নিখুঁত। কারণ হাতের লেখার পাশাপাশি প্রতিটি ব্যক্তির পছন্দ আরও ভালো করে যাচাই করা যায় চিঠির মাধ্যমে। চিঠি লেখার মাধ্যমে যে কোনও ব্যক্তির মনের ভাব অনেক বেশি গভীরভাবে জানা যায়। সেই ব্যক্তি বা মহিলার চিন্তাভাবনা সম্পর্কে একটি স্পচ্ছ ধারনা করা যায়। যারা নিজের নাম নথিভুক্ত করেছেন তারাঁ যথেষ্ট উৎসাহী বলেও জানা গেছে।
স্কিমে অংশগ্রহকারীরা মূলত তাঁদের পছন্দের খাবার, বই, সিনেমা , গান এই সব নিয়েই চিঠি আদানপ্রদান করছেবন। তবে এখনও পর্যন্ত এই প্রোফাইলে ফোটো নিষিদ্ধ। কেই যদি নিজের ইচ্ছে সঙ্গীকে ফোটে পাঠাতে পারে তাহলে কোনও আপত্তি নেই কর্তৃপক্ষের। তবে প্রোফাইল তৈরির জন্য ফোটোর প্রয়োজন নেই।
গার্ডিয়ান জানিয়েছে এই প্রকল্পটি চালু করার মূল উদ্দেশ্যই হল জাপানে জন্মের হার বাড়ানো। অবিবাহিতরা যাতে নিজেদের পছন্দ মত সঙ্গী খুঁজে নিতে পারে তার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে এক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গী সম্পর্কে কতটা আন্তরিক আর কতটা গভীর তাঁর অনুভূতি তা ভাল করে জানা যাবে বলেও মনে করছে