সংক্ষিপ্ত

একজনের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্ক ছিল। সন্তানও ছিল। পরবর্তীকালে অন্য মহিলার প্রেমে পড়েন। সমাজের চাপে পড়ে দুই মহিলাকেই বিয়ে করতে। কিন্তু নতুন বর জানিয়েছেন দুই মহিলাকেই সমান ভালবাসেন তিনি।

গল্পে পড়া যায় বা সিনেমায় দেখা যায়- কিন্তু বাস্তবেও যে এমনটা হতে পারে তা কল্পনা করা যায় না। কারণ ঝাড়খণ্ডের একটি ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল গল্পও মাঝে মঝ্য়ে সত্যি হয়।  ঝাড়খণ্ডের এক ব্যক্তি তাঁর দুই বান্ধবীকে একসঙ্গে বিয়ে করেছেন। পাশাপাশি জানিয়েছেন তিনি দুজনকেই সমান ভালবাসেন। 

ঝাড়খণ্ডের লোহারদাগা গ্রামের বাসিন্দা সন্দীপ ওরাঁও। কুসুম লাকড়া আর স্বাতী কুমারী দুজনের সঙ্গেই প্রেম ছিল সন্দীপের। সন্দীপ আর কুসুম এক গ্রামের বাসিন্দা হলেও স্বাতী এই রাজ্যের বাসিন্দা। তবে ভাগ্যের লিখন একই দিনে আর একই মঞ্চে দুই 'সতীনের' চার হাত সন্দীদের দুই হাতে বাধা পড়ে। সন্তান কোলে নিয়ে বিয়ে করেন একজন্য।  

প্রেমের শুরু- সন্দীর আর কুসুম প্রায় বছর তিনের ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। তাঁদের একটি সন্তানও রয়েছে। তাঁদের প্রেমের নদী অন্যখাতে বইতে শুরু করে যখন সন্দীপ পশ্চিমবঙ্গের একটি ইঁটভাটাতে কাজ শুরু করেন। সেখানেই সন্দীপের সঙ্গে দেখা হয় স্বাতীর। তারপর স্বাতীর প্রেমে পড়েন সন্দীপ। স্বাতীও এই ইঁটভাটায় কাজ করত। 

পরকীয়া-ইঁটভাটাতেই স্বাতী আর সন্দীপের বন্ধুত্ব। সেখানে থেকেই প্রেশের শুরু। কিন্তু স্বাতীর পরিবার সন্দীপ সম্পর্কে সবকিছু জানার পর বাধা দিতে থাকে। সমস্যা সামাধানের জন্য সালিশি সভাই ডাকা হয়েছিল। সেখানে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় পঞ্চায়েত বসানো হয়। অবশেষে সমস্যার সমাধান হয়। পঞ্চায়েতের নির্দেশেই সন্দীপ দুই মহিলাকে বিয়ে করেন। দুই মহিলার পরিবার  বা সন্দীপের পরিবার এই বিষয়ে আপত্তি জায়াননি।

ভালবাসা- সন্দীপ জানিয়েছে দুই মহিলাকে বিয়ে করা যায় না ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী। তাতে অনেক আইনি জটিলতা তৈরি হয়। কিন্তু তিনি দুই জন মহিলাকেই সমান ভালবাসেন। তাদের কোনও একজনকে ছেড়ে তিনি থাকতে পারবেন না। তাই তিনি দুজনেকেই বিয়ে করতে রাজি হয়েছে।