সংক্ষিপ্ত
মহাদেবের জন্ম এবং তার পিতা-মাতার সঙ্গে সম্পর্কের এই কাহিনি খুব কম লোকই জানেন। শিবপুরাণে ভগবান শিবের জন্ম কাহিনীর উল্লেখ রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক মহাদেবের পিতা-মাতা কারা ছিলেন।
Mahadev's father Name: সোমবার হিন্দু ধর্মের ভগবান শিবের প্রিয় দিন। এই দিনে ভগবান শিবের উপাসনার জন্য উৎসর্গ করা হয়। এই দিনে শিব মন্দির ও শিব মন্দিরে ভক্তদের ভিড় জমে। আপনিও যদি একজন শিবভক্ত হয়ে থাকেন তবে বলতে পারবনে ভগবান শিবের পিতা-মাতা কারা ছিলেন। আসলে মহাদেবের জন্ম এবং তার পিতা-মাতার সঙ্গে সম্পর্কের এই কাহিনি খুব কম লোকই জানেন। শিবপুরাণে ভগবান শিবের জন্ম কাহিনীর উল্লেখ রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক মহাদেবের পিতা-মাতা কারা ছিলেন।
মহাদেবের পিতা-মাতা কারা ছিলেন?
শ্রীমদদেবী মহাপুরাণে মহাদেবের পিতামাতার উল্লেখ আছে। শ্রীমদ্দেবী মহাপুরাণ অনুসারে, একবার নারদ তার পিতা ব্রহ্মাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কে কোন বিশ্বজগতের সৃষ্টি করেছেন? এছাড়াও তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ভগবান বিষ্ণু, ভগবান শিব এবং তোমার পিতা কে? নারদের প্রশ্নের উত্তরে ব্রহ্মা ত্রিদেব ও তাদের পিতামাতার জন্মের কথা বললেন।
ব্রহ্মা বলেছিলেন যে ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ দেবী দুর্গা এবং শিব স্বরূপ ব্রহ্মার সংমিশ্রণ থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। মানে প্রকৃতির রূপে দেবী দুর্গা আমাদের তিনজনের মা এবং ব্রহ্মা অর্থাৎ কাল সদাশিব আমাদের পিতা। মহাদেবের পিতামাতার সম্পর্কে আরও একটি বিষয় উল্লেখ আছে। একবার ব্রহ্মা এবং বিষ্ণুর মধ্যে কোনও এক বিষয় নিয়ে মতভেদ হয়। তখন ব্রহ্মা বিষ্ণুকে বলেন, আমিই তোমার পিতা কারণ এই সৃষ্টি আমার থেকেই উৎপন্ন হয়েছে, আমি প্রজাপিতা। তখন বিষ্ণু বলেন, আমি তোমার পিতা, কারণ তুমি আমার নাভিপদ্ম থেকে জন্মেছ।
ব্রহ্মা ও বিষ্ণুর এই মতভেদ শুনে সদাশিব সেখানে পৌঁছে বললেন, পুত্রগণ, আমি তোমাদের জগতের উৎপত্তি ও অবস্থার দায়িত্ব দিয়েছি। একইভাবে আমি শিব ও রুদ্রকে ধ্বংস ও বিনাশের দায়িত্ব দিয়েছি। আমার পাঁচটি মুখ আছে- নিরাকার (ক), দ্বিতীয় উকার (উ), তৃতীয় মুখ মুকার (ম), চতুর্থ বিন্দু (.) এবং পঞ্চম ধ্বনি (ধ্বনি) দেখা দিয়েছে। এই পাঁচটি উপাদানের সঙ্গে একত্রিত হয়ে, 'ওম' এর জন্ম হয়েছিল, যা আমার মূল মন্ত্র।