কার্তিক মাসে করুন এই ৫ কাজ, দূর হবে সঙ্কট ঘরে হবে দেবী লক্ষ্মীর আবাসস্থল
- FB
- TW
- Linkdin
কার্তিক মাস চলবে ১৮ অক্টোবর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত। কার্তিক মাসের নামকরণ করা হয়েছে কার্তিকেয় স্বামীর নামে।
ভগবান নারায়ণ ব্রহ্মাকে এই কথা বলেছেন, ব্রহ্মা নারদকে বলেছেন এবং তিনি মহারাজ পৃথুকে কার্তিক মাসের কথা বলেছেন।
কিছু কাজ বা প্রতিকার আছে যা বিশেষ করে কার্তিক মাসে করা উচিত, এর দ্বারা লক্ষ্মী প্রাপ্তি হয় এবং জীবনে কখনও দুঃখের সম্মুখীন হতে হয় না।
কার্তিক মাসে এই প্রতিকারগুলি করুন
দীর্ঘ জীবনের জন্য
কার্তিক মাসে ধনতেরাস হল ওষুধের জনক ধন্বন্তরীর পূজার দিন ধনতেরাসের দিন, ভগবান ধন্বন্তরী অমৃত ও ওষুধের পাত্র নিয়ে আবির্ভূত হন। এদের পূজা করলে স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু পাওয়া যায়।
এভাবেই শক্তি বাড়বে
কার্তিক মাসে কম কথা বলা উচিত। মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। কাউকে খারাপ কথা বলবেন না এবং বিবাদ এড়িয়ে চলুন।
এই দিনগুলিতে ব্রহ্মচর্যের নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে। এতে করে ইচ্ছাশক্তি প্রবল হয় এবং অভ্যন্তরীণ শক্তি বৃদ্ধি পায়।
রোগবালাই দূরে থাকবে (কার্তিক স্নানের উপকারিতা)
এই পবিত্র মাসে, সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে তীর্থস্থান বা পবিত্র নদীর জলে স্নান করা উচিত।
যদি আপনি এটি করতে সক্ষম না হন তবে আপনি জলে গঙ্গা জল মিশিয়ে বাড়িতে স্নান করে তীর্থযাত্রা করার পুণ্য পেতে পারেন।
এইভাবে স্নান করলে শুধু রোগ নিরাময় হয় না, জ্ঞাতসারে বা অজান্তে করা সকল প্রকার পাপও দূর হয়।
তুলসী পাতা দিয়ে করুন এই কাজটি (কার্তিকে তুলসীর প্রতিকার)
কার্তিক মাসে আপনি যদি সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জলের সাথে কয়েকটি তুলসী পাতা গিলে নেন, তাহলে সারা বছর রোগ থেকে বাঁচতে পারবেন।
এই মাসে চিনাবাদাম অর্থাৎ মুলা, গাজর, গরদু, মিষ্টি আলু এবং অন্যান্য ধরনের কন্দ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
শালিগ্রাম ও তুলসী পূজার উপকারিতা
কার্তিক মাসে ভগবান বিষ্ণুর শালগ্রাম রূপের পূজা করলে মহা পুণ্য পাওয়া যায়। এই মাসে তুলসী ও আমলা গাছের পুজো করার রীতি রয়েছে। এটি করলে সুখ, সমৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য আসে।
কার্তিক মাসে কী করবেন এবং কী করবেন না
কার্তিক মাস স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিশেষ বলে মনে করা হয়। এই মাসে শরৎ শুরু হয়। দুটি পরিবর্তনশীল ঋতুর মধ্যে সময়ের কারণে এই দিনগুলিতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলিও দেখা দিতে শুরু করে, তাই শাস্ত্রে বলা হয়েছে কার্তিক মাসে সম্পূর্ণ দৈনন্দিন রুটিন পরিবর্তন করতে।
এর মধ্যে খাওয়া, পান এবং ঘুমের সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ নিয়মগুলি বলা হয়েছে। এগুলো গ্রহণ করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং আয়ুও বৃদ্ধি পায়।
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে। এই দিনগুলিতে নদী স্নানের একটি ঐতিহ্য রয়েছে।অনেকে নদীতে প্রদীপও দান করেন।
এই দিনগুলিতে শিম এবং ডাল খাওয়া উচিত নয়। তেল মালিশও করা উচিত নয়। এসবের যত্ন নিলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং আয়ু বৃদ্ধি পায়।