আজ দশমী। পুজোর আনন্দে এতদিন খুশির রেশ ছিল বাঙালির মনে। চলতি বছরে মহাসঙ্কট কাটিয়ে যেন ফের ছন্দে ফিরেছে আট থেকে অষ্টাদশী। মা দুর্গার আজ বিদায়ের পালা। ইতিমধ্যেই দেবী দূর্গার বিদায়ে সকলের মন ভারাক্রান্ত। গত ৪ দিন ধরে মুম্বইয়ের মুখার্জি বাড়িতেও ধুমধাম করে চলছে দুর্গাপুজো সেলিব্রেশন। ডাকের সাজে সেজে উঠেছে মা দুর্গা। মুম্বইয়ের রানি মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজোয় জমায়েত হয়েছেন তারকারা। ভাইয়ের সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন রিয়া চক্রবর্তী,দেখে নিন পুজোর এক্সক্লুসিভ ছবি।
অনুরাগীদের উদ্দেশে নুসরতের বার্তা, ‘ঢাকের আওয়াজ মিলিয়ে গেল পুজো হল শেষ... প্রামে শুধু জাগিয়ে রেখো এই খুশির রেশ’। এ ভাবেই কবিতার ছন্দে সবাইকে শুভ বিজয়া জানিয়েছেন তিনি। পুজোর সব কটি দিনই নুসরত এবং যশ দাশগুপ্তকে এক সঙ্গে দেখা গিয়েছে।
দশমী মানেই বিষাদের বার্তা। মায়ের কৈলাসে ফিরে যাওয়ার সময়। সিঁদুর খেলার আনন্দে সামিল তারকারাও। দেবীবরণ শেষে সিঁদুরখেলায় মাতলেন ঋতুপর্ণা। হাজরা পার্কের সিঁদুর খেলায় মাতলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শোভন দেব ও পুত্র সায়ন দেব।
মুম্বইয়ের মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজো মানেই চাঁদের হাট। মুম্বইয়ের মুখার্জি বাড়িতেও ধুমধাম করে চলছে দুর্গাপুজো সেলিব্রেশন। ডাকের সাজে সেজে উঠেছে মা দুর্গা। মুম্বইতে দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতে উঠেছেন বলি তারকারা। রানির বাড়ির পুজোয় হাজির হয়েছিলেন রাজকুমার পত্নী পত্রলেখা। বিয়ের পর প্রথম পুজো। শাড়ি পরে পুজোতে সামিল হয়েছিলেন পত্রলেখা। কাজলের মা তনুজা ও বোন তানিশার সঙ্গে নজর কেড়েছেন পত্রলেখা।
এ বছরে ৩০০ বছরে পা দিয়েছিল টাকির রাজবাড়ির পুজো, সকালেই রীতি মেনে ঠাকুর বরণ হয় ,এরপর সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন স্থানীয় মহিলারা। এরপর ২৬ বেয়ারার কাঁধে চড়ে ইছামতিতে বিসর্জন হয়
দশমী মানেই বিষাদের বার্তা। মায়ের কৈলাসে ফিরে যাওয়ার সময়। সিঁদুরে রাঙা বাগবাজার, শান্ত মনে মাকে বরণ। আসছে বছর আবার হবে, এই বার্তাতেই মায়ের গমন। বাগবাজার মানেই ঐতিহ্য। সকাল থেকেই মাকে বরণ, সাথে সিঁদুর খেলা। সবাই সিঁদুরের লাল রঙে রাঙা।
সকাল থেকেই টাকির রাজবাড়ির রীতি মেনে ঠাকুর বরণ অর্থাৎ যাত্রা মঙ্গল বরন তারপর সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিয়ম অনুযায়ী আগে টাকির রাজবাড়ির ঠাকুর ইছামতি নদীতে বিসর্জন হবে তারপর একে একে অন্যান্য বাড়ির ও বারোয়ারি পুজোর দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন হয়।
মঙ্গলবার সন্ধে থেকেই তাই মনখারাপ চট্টোপাধ্যায় পরিবারের। ভেজা চোখেই প্রতি বারের মতো এ বছরেও পুজো শেষে মন্ত্র পড়ে দেবীর ঘট নাড়ানো হয়েছে। ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে লাল সুতোর বাঁধন। দর্পণে ভেসে উঠেছে দেবীমুখ। অর্থাৎ, রীতি মেনে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন। প্রতি বছরই এটাই সুদীপা চট্টোপাধ্যায়-অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজোর চেনা ছবি।
নজরকাড়া সুরুচি সঙ্ঘ-এর এবারের থিম। 'পৃথিবী আবার শান্ত হবে' এবারের থিম। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পুজো নামেই খ্যাত। অভিনব ভাবনা তার সঙ্গে আবহ শব্দের সংযোজন। চতুর্থীর রাত থেকেই জনজোয়ার। মুলত করোনা অতিমারির সময়কেই এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
আজ বিজয়া দশমী, চলছে সিঁদুরখেলা সিউড়ি আনন্দপুর সার্বজনীনে | এর পাশাপাশি ঢাকের তালে ধুনুচি নাচ করতেও দেখা যায় মহিলাদের