নতুন বছর ২০২৬-এর জন্য সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি আনতে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। বাস্তু মতে, এই সময়ে বাড়িতে শ্রীযন্ত্র, শিবলিঙ্গ, স্পিরিট ক্রিস্টাল বল, শালিগ্রাম এবং স্বস্তিকা যন্ত্রের মতো শুভ জিনিস রাখলে আগামী বছরে সম্পদ, সাফল্য এবং শান্তি আসে। 

২০২৫ সাল এখন তার চূড়ান্ত পর্যায়ে, এবং সকলেই নতুন বছর ২০২৬ কে সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরিয়ে তুলতে চায়। বাস্তু শাস্ত্র অনুসারে, নভেম্বর মাসকে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি এবং সম্পদ বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। বাস্তু শাস্ত্র অনুসারে, এই সময়ে বাড়িতে কিছু বিশেষ জিনিসপত্র আনলে আগামী বছরে আপনার সৌভাগ্য হবে। জ্যোতিষীরা বিশ্বাস করেন যে নভেম্বর মাসে বাড়িতে শ্রীযন্ত্র, শিবলিঙ্গ, স্পিরিট ক্রিস্টাল বল, শালিগ্রাম এবং স্বস্তিকা যন্ত্রের মতো শুভ প্রতীক রাখলে ২০২৬ সালে সম্পদ, সাফল্য এবং শান্তি আসবে।

শ্রীযন্ত্রকে দেবী লক্ষ্মীর এক রূপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ঘরে শ্রীযন্ত্র রাখলে আর্থিক অসুবিধা দূর হয় এবং নতুন সুযোগ আসে। প্রার্থনা কক্ষ বা অফিসের টেবিলের উত্তর-পূর্ব দিকে লাল বা হলুদ কাপড়ের উপর এটি রাখা শুভ।

বুধের শিবলিঙ্গ এবং আত্মার স্ফটিক বল শুভ।

পারদ ধাতু দিয়ে তৈরি বুধের শিবলিঙ্গ ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করে। এটি প্রার্থনা কক্ষে স্থাপন করুন এবং প্রতিদিন জল নিবেদন করুন। বিশ্বাস করা হয় যে এটি ভগবান শিবকে খুশি করে এবং বাড়িতে শান্তি, স্বাস্থ্য এবং সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে।

আত্মার স্ফটিক বলকে ফুলস গোল্ডও বলা হয়। বাস্তুতে, এটি এমন একটি উপাদান হিসাবে বিবেচিত হয় যা সম্পদ আকর্ষণ করে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। এটি আপনার অফিসের ডেস্কে, দোকানের ক্যাশ কাউন্টারে বা আপনার বাড়ির উত্তর দিকে রাখলে সম্পদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এটি আপনার সম্ভাবনাও উন্নত করে।

শালিগ্রাম এবং স্বস্তিকাও গুরুত্বপূর্ণ

ঘরে ভগবান বিষ্ণুর প্রতীক শালিগ্রাম বিবেচনা করা অত্যন্ত শুভ। এটি পরিবারে সুখ, শান্তি এবং আধ্যাত্মিক অগ্রগতি নিয়ে আসে।

এটি তুলসী গাছের কাছে বা বিষ্ণু মূর্তির সাথে রাখুন এবং নিয়মিত দুধ, দই, ঘি, মধু এবং গঙ্গা জল দিয়ে পূজা করুন। স্বস্তিকা যন্ত্র হিন্দুধর্মে শুভ এবং সৌভাগ্যের প্রতীক।

এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি প্রধান দরজা, দোকান বা যানবাহনে রাখলে নেতিবাচক শক্তি দূরে থাকে। লাল স্বস্তিকাকে সবচেয়ে শুভ বলে মনে করা হয়। এটি বাড়িতে সৌভাগ্য, সাফল্য এবং সমৃদ্ধি বজায় রাখে।