দীপাবলি কেবল আলোর উৎসব নয়, এটি ঘর ও মনের পবিত্রতারও প্রতীক। এই দিন সকালে কিছু সহজ প্রতিকার মানলে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ লাভ করা যায়। এই কাজগুলি ঘরে ইতিবাচক শক্তি, সুখ এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে এবং আর্থিক কষ্ট দূর করতে সাহায্য করে।
দীপাবলির প্রতিকার:কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে দীপাবলি পালিত হয়। এই দিনটি কেবল আলো এবং সুখের প্রতীক নয়, বরং অন্ধকারের উপর আলোর বিজয়ের বার্তাও বহন করে। দীপাবলির রাতকে মহানীশাও বলা হয়। "মহানিশা" অর্থ বিশেষ বা মহান রাত। এই রাতে, ঘর এবং উঠোন প্রদীপ দিয়ে আলোকিত করা হয়, মন্দির এবং পথ আলোকিত করা হয়। তবে দীপাবলি কেবল আলোর উৎসব নয়; এটি ঘর এবং মনের পবিত্রতারও উৎসব।
আর যারা দীপাবলির এই সময়ে দেবী লক্ষ্মীর পুজা করেন, তারা সকালে যদি সঠিকভাবে প্রার্থনা করা হয়, তাহলে দেবী লক্ষ্মী অবশ্যই বাড়িতে বাস করবেন। আসুন দীপাবলির ভোরে করণীয় এই ৫টি সহজ এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
প্রধান দরজা রঙ করা
একটি বাড়ির প্রধান দরজা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান। দীপাবলির আগে সুন্দর রঙ দিয়ে পরিষ্কার করা এবং সাজানো শুভ বলে মনে করা হয়। রঙিন দরজা কেবল ঘরকে আকর্ষণীয় করে তোলে না বরং ইতিবাচক শক্তি এবং সম্পদকেও স্বাগত জানায়।
প্রধান দরজায় মালা
দরজায় ফুলের মালা ঝুলানো সৌভাগ্য এবং সমৃদ্ধির প্রতীক। বিশ্বাস করা হয় যে, প্রধান দরজায় মালা ঝুলিয়ে রাখলে ঘরে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে বাধা পায়। দীপাবলিতে অশোক পাতার মালা ঝুলিয়ে রাখা শুভ বলে মনে করা হয় এবং আর্থিক কষ্ট লাঘব হয়।
গঙ্গার জল ছিটানো
গঙ্গার জল ছিটানো বাড়িতে পবিত্রতা এবং ইতিবাচকতা বজায় রাখার একটি ঐতিহ্য। রাজা ভাগীরথের পূর্বপুরুষরা কেবল স্পর্শ করেই মোক্ষ লাভ করেছিলেন। বিশ্বাস করা হয় যে গঙ্গার জল ঘরে দেব-দেবীর আশীর্বাদ বজায় রাখে। তাই, দীপাবলিতে গঙ্গার জল ছিটাতে ভুলবেন না।
প্রধান দরজায় স্বস্তিকা
দরজার উপর স্বস্তিকা প্রতীককে শান্তি, স্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়। এই প্রতীক নেতিবাচক শক্তিকে বাধা দেয় এবং ইতিবাচক শক্তি আকর্ষণ করে। সূর্যোদয়ের সময় সূর্যকে জল অর্পণ করা, অথবা সূর্য দেবতাকে ধন্যবাদ জানানো, ঘরে আলো এবং জীবন আনার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। এই কাজ দিনটিকে শুভ এবং ইতিবাচকতায় ভরে তোলে।
আপনার প্রিয় দেবতার মন্ত্র জপ করুন
বাড়ির মন্দিরে পূজা করার পর, একটি প্রদীপ জ্বালান এবং আপনার প্রিয় দেবতার মন্ত্র জপ করুন। মন্ত্র জপ করলে মন শান্ত হয় এবং ঘরে পবিত্রতা বজায় থাকে।
গণেশ মন্ত্র- শ্রী গণেশায় নমঃ
শিব মন্ত্র - ওম নমঃ শিবায়
বিষ্ণু মন্ত্র - ওম নমো ভগবতে বাসুদেবায়
সূর্য মন্ত্র - ওম সূর্যায় নমঃ
দুর্গা মন্ত্র – দম দুর্গায়ে নমঃ
লক্ষ্মী মন্ত্র - ওম লক্ষ্মী নমঃ
রাম মন্ত্র - রাম রামায় নমঃ
কৃষ্ণ মন্ত্র – ক্রীম কৃষ্ণায় নমঃ
হনুমান মন্ত্র- শ্রী রামদূতায় নমঃ


