রাধাষ্টমীর এই পূজা তার গল্প বা ব্রত না শুনে সম্পন্ন হয় না।এই রাধাষ্টমী শুধুমাত্র একটি উৎসবই নয় এটি প্রেম ভক্তি ও দাম্পত্য জীবনের মঙ্গল কামনায় করা হয়। চলতি কোথায় আছে রাধাষ্টমী এই ব্রত করলে সংসারের সুখ শান্তি সমৃদ্ধি শ্রীবৃদ্ধি হয়।

ভাদ্র মাসের শুক্লাষ্টমী তিথিতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি পরে। ঠিক পরবর্তী অষ্টমী তিথি হল ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গিনী শ্রীরাধার পবিত্র জন্মতিথি। আর এই অষ্টমী তিথি রাধাষ্টমী নামে প্রচারিত। শ্রীরাধা মথুরার বারসানা তে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই রাধাষ্টমী তিথিতে রাজা বিষভানু এবং তার স্ত্রী কীর্তি স্বর্ণপদ্মের কোলে এসেছিলেন শ্রীরাধা মা।

এই বছর বৈদিক পঞ্জিকা বা পঞ্চাঙ্গ অনুসারে রাধাষ্টমী তিথি পড়েছিল ৩১ শে আগস্ট রাত ১২:৫৭ মিনিট পর্যন্ত।

রাধাষ্টমীর এই পূজা তার গল্প বা ব্রত না শুনে সম্পন্ন হয় না।এই রাধাষ্টমী শুধুমাত্র একটি উৎসবই নয় এটি প্রেম ভক্তি ও দাম্পত্য জীবনের মঙ্গল কামনায় করা হয়। চলতি কোথায় আছে রাধাষ্টমী এই ব্রত করলে সংসারের সুখ শান্তি সমৃদ্ধি শ্রীবৃদ্ধি হয়।

আসুন জেনে নেওয়া যাক রাধাষ্টমীর ব্রত গল্পে কি লেখা আছে:

শ্রীরাধা মার জন্মকাহিনী অত্যন্ত মন্ত্রমুগ্ধ করে সকলকে। একসময় রাধা ও শ্রীকৃষ্ণ গোলোক ধামে বাস করছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ তখন তাঁর বন্ধু বীরজার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন। যা দেখে রাধা রেগে গিয়েছিলেন। তখন কৃষ্ণভক্ত সুদামা শ্রীরাধার আচরণে ব্যথিত হয়ে তাঁকে অভিশাপ দেন—'হে দেবী, তোমাকে পৃথিবীতে জন্ম নিতে হবে।'

তখন শ্রীরাধাও পালটা শ্রীদামাকে অভিশাপ দেন যে তাঁর রাক্ষস বংশে জন্ম হবে। ফলস্বরূপ শ্রীদামা পৃথিবীতে শঙ্খচূড় রাক্ষস রূপে আবির্ভূত হন। অন্যদিকে, শ্রীকৃষ্ণ শ্রীরাধাকে আশ্বাস দেন যে তিনি পৃথিবীতেও তাঁর সঙ্গ দেবেন। যোগমায়া শ্রীরাধা কীর্তিদেবীর গর্ভে প্রবেশ করেন এবং দেবী রাধা বৃষভানু ও কীর্তিদেবীর কন্যা হিসেবে বরসানায় জন্মগ্রহণ করেন। এভাবেই শ্রীরাধার ঐশ্বরিক অবতার পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রসঙ্গত বৈষ্ণব দের বিশ্বাস, রাধাষ্টমী পালন করলে জন্ম জন্মান্তরের পাপরাশি বিনষ্ট হয়। একটি রাধাষ্টমীর ফল হচ্ছে লক্ষাধিক একাদশী ব্রতের সমান। এক পর্বতসমান সোনা দান করলে যে ফল লাভ হতে পারে, রাধাষ্টমী ব্রত পালন করলে সেই পরিমাণ পুণ্য লাভ হয়ে থাকে।