kamakhya temple: অসমের গুয়াহাটির ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে রয়েছে শক্তিপীঠ কামাখ্যা মন্দির। এখানে দেবী শক্তি রূপে পুজিত হন। তবে অম্বুবাচীর সময় এখানে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয় 

অম্বুবাচী- এই শব্দটির সঙ্গে আমরা কমবেশি পরিচিত। এই সময়টা হিন্দুধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রাচীন প্রথার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেক পৌরাণিক কাহিনি। ধর্মীয় আচারও জড়িয়ে রয়েছে। অম্বুবাচীর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অসমের কামাখ্যা মন্দির। প্রাচীন ধর্মমত অনুযায়ী এটি একটি শক্তিপীঠ। এই স্থানেই পড়েছিল দেবীর যোনি।

কামাখ্যা মন্দির-

অসমের গুয়াহাটির ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে রয়েছে শক্তিপীঠ কামাখ্যা মন্দির। এখানে দেবী শক্তি রূপে পুজিত হন। তবে অম্বুবাচীর সময় এখানে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অন্যান্য সব মন্দিরের মতই কামাখ্যার এই মন্দিরও অম্বুবাচীর সময়ের তিন দিন বন্ধ থাকে। কিন্তু আপনি জানেন কি এই সময় এই মন্দিরের পা রাখতে পারেন না পুরুষরা। প্রত্যেক বছর অম্বুবচী মেলার সময় এই মন্দিরটি তিন দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর এই সময়ে এই মন্দিরে পুরুষের প্রবেশ নিষেধ হয়ে যায়।

অম্বুবাচীর সময় কামাখ্যা মন্দিরে পুরুষরা প্রবেশ করলে কী কী হয়, তা নিয়ে কিছু প্রচলিত ধারনা আর নিয়ম রয়েছে। প্রাচীন ধারনা অনুযায়ী পুরুষা মন্দিরে প্রবেশ করলে দেবী রুষ্ট হয়। কোপে পড়তে হয় সাধারণভাবে অম্বুবাচী মেয়ার সময় পুরুষদের মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। কিন্তু এই সময় পুরোহিতদের সাহায্য়ে বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা করা হয়।

অম্বুবাচীর সময় কতগুলি নিয়ম পালন করা হয়-

অম্বুবাচীর সময় এই মন্দিরে ঢোকা নিষিদ্ধ

রান্না করা নিষেধ, আগে খাবার তৈরি করে রাখতে তা খাওয়া যায়

সাধু সন্ন্যাসী বিধবা নরীরা নিরামিষ খাবর গ্রহণ করেন

এই সময় চাষাবাদ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কামাখ্য মন্দির দেবী কামাখ্যার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তিপীঠ। এই দেবী উর্বরতার দেবী হিসেবেই পুজিত হন। তাই এই মন্দিরে যেমন আসেন নিঃসন্তান দম্পতিরা তেমনই আসেন চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী অম্বুবাচী দেবীর ঋতুস্রাবের সময়। তাই এই সময় দেবী একান্তে থাকতে চান। তাই পুরুষের প্রবেশ হয়ে যায় এই সময়।