সংক্ষিপ্ত
এই প্রতিমাটি তৈরি হয়েছে লোহার পাইপ, বাঁশ, থার্মোকল এবং চট দিয়ে। স্থানীয় শিল্পী সোমনাথ তামলির হাতে দেবী সরস্বতীর এই বিশাল রূপটি তৈরি হয়েছে। উদ্যোক্তাদের দাবি, এর আগে বিশ্বের কোথাও এত উঁচু সরস্বতী প্রতিমা তৈরি হয়নি।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মহেশতলার বাটানগরে এক অভূতপূর্ব সরস্বতী পুজোর আয়োজন । উদ্যোক্তাদের দাবি, এখানে তৈরি হওয়া এই মুর্তি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সরস্বতী প্রতিমা। যা প্রায় দশতলা সমান উঁচু অর্থ্যাৎ ১১১ ফুট বিশিষ্ট। এই বিশাল প্রতিমাটি একবার চোখে দেখতে দেখতে সকাল থেকেই মানুষের ঢল নেমেছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দর্শনার্থীদের সংখ্যা। ১১১ ফুটের সরস্বতী প্রতিমা দেখতে মানুষজনের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, এটি গোটা বিশ্বের মধ্য়ে সব থেকে বড় সরস্বতী প্রতিমা। শনিবার উদ্বোধনের পর দূর-দূরান্ত থেকে প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছেন এই পুজো দেখতে। ছোট থেকে বুড়ো সবাই আসছেন ঠাকুর দেখতে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মহেশতলার বাটানগরের নিউল্যান্ড মাঠের এই পুজোটি দুটি স্থানীয় ক্লাব, বাটানগর স্কোয়াড এবং ক্রিয়েশন-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে। ক্লাব দুটি দীর্ঘদিন ধরে এখানে সরস্বতী পুজা করে আসছে, তবে এই বছর তারা একসঙ্গে মিলে হয়ে এই বিশাল আয়োজন করেছে বলে জানা যায়।
এই প্রতিমাটি তৈরি হয়েছে লোহার পাইপ, বাঁশ, থার্মোকল এবং চট দিয়ে। স্থানীয় শিল্পী সোমনাথ তামলির হাতে দেবী সরস্বতীর এই বিশাল রূপটি তৈরি হয়েছে। উদ্যোক্তাদের দাবি, এর আগে বিশ্বের কোথাও এত উঁচু সরস্বতী প্রতিমা তৈরি হয়নি।বিশাল প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।১ ফেব্রুয়ারি এই পুজোর উদ্বোধন হলেও, পঞ্জিকা মেনে পুজা হয় ৩রা ফেব্রুয়ারি। এই উপলক্ষে নিউল্যান্ড মাঠ এবং তার আশেপাশের এলাকায় বসেছে মেলা , যা এই উৎসবের আমেজকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
স্থানীয়দের জন্য এই পুজো একটি বিশেষ গর্বের বিষয়। তারা মনে করে যে এই ধরনের আয়োজন তাদের এলাকার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করবে। এই বিশাল সরস্বতী প্রতিমা দেখতে শুধু স্থানীয় মানুষজনই নয়, দূর-দূরান্ত থেকেও বহু মানুষ আসছেন। এই পুজোটি এখন বিশ্বের অন্যতম আলোচিত সরস্বতী পুজা হয়ে উঠেছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।