সংক্ষিপ্ত

বাস্তু অনুসারে, রান্নাঘরে শিলনোড়া এবং পাথরের বাসন দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রাখলে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়। ভুল দিকে রাখলে অর্থহানি এবং নেতিবাচকতা আসতে পারে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাও জরুরি।

বাস্তুশাস্ত্রে রান্নাঘরের সঠিক ব্যবস্থাপনা ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিলনোড়া এবং পাথরের বাসনের ওজন বেশি হয়, তাই শিলনোড়া এবং পাথরের বাসনগুলো সঠিক দিকে রাখা প্রয়োজন যাতে ইতিবাচক শক্তি বজায় থাকে। আসুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক রান্নাঘরে এগুলো কোথায় এবং কীভাবে রাখা উচিত। শিলনোড়া এবং পাথরের বাসনগুলো রান্নাঘরের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রাখা সবচেয়ে ভালো।

১. শিলনোড়া এবং পাথরের বাসন রাখার দিক

দক্ষিণ-পূর্ব দিক (অগ্নি কোণ):

রান্নাঘরের এই অঞ্চল অগ্নি তত্ত্বের প্রতিনিধিত্ব করে। শিলনোড়া এবং পাথরের বাসন, যেগুলো রান্না এবং মশলা বাটার জন্য ব্যবহৃত হয়, তাই এগুলো এই দিকে রাখা শুভ বলে মনে করা হয়। এটি খাবারে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার করে এবং পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

২. উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে না রাখা

উত্তর দিক: এই দিক কুবের এবং ধনের বলে মনে করা হয়। পাথর এবং শিলনোড়া এই দিকে রাখলে অর্থহানি হতে পারে।

উত্তর-পূর্ব দিক: এটি ঈশান কোণ, যেখানে পূজার স্থান বা পবিত্রতার প্রতীক। এখানে শিলনোড়া রাখা শুভ নয়, কারণ এটি খাবার এবং পবিত্রতার শক্তিকে ব্যাহত করতে পারে।

৩. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর রাখুন

শিলনোড়া এবং পাথরের বাসন নোংরা এবং অপরিষ্কার থাকা উচিত নয়।

ব্যবহারের পরে এগুলো অবিলম্বে পরিষ্কার করুন এবং শুকানোর জন্য সঠিক স্থানে রাখুন।

নোংরা থেকে নেতিবাচক শক্তি উৎপন্ন হয়, যা ঘরের শান্তি এবং সমৃদ্ধিকে প্রভাবিত করতে পারে।

৪. দক্ষিণ-পশ্চিমে না রাখা

দক্ষিণ-পশ্চিম দিক: এই দিক স্থিতিশীলতা এবং দৃঢ়তার প্রতীক, কিন্তু এখানে শিলনোড়া বা পাথরের বাসন রাখলে ঘরে উত্তেজনা এবং ঝগড়া হতে পারে।

৫. দিক এবং ব্যবহারে সামঞ্জস্য বজায় রাখুন

রান্না করার স্থান: শিলনোড়া এমন জায়গায় রাখুন যেখানে এটি সহজেই ব্যবহার করা যায়।

খাবারের শক্তি: এটি অগ্নি কোণ (দক্ষিণ-পূর্ব) এর কাছে রাখলে শক্তির প্রবাহ সুষম থাকে।

৬. বাস্তু ত্রুটি এড়ানোর উপায়

যদি শিলনোড়া ভুল দিকে রাখা হয়, তাহলে এটি অবিলম্বে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে সরিয়ে নিন।

ব্যবহারের পরে এটি ঢেকে রাখুন, যাতে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব কম হয়।

প্রতি মাসে এটি গঙ্গাজল দিয়ে পরিষ্কার করুন, যাতে ইতিবাচকতা বজায় থাকে।