বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, আপনি যেভাবে ঘড়ি পরেন, তার প্রভাব আপনার উন্নতি এবং ভাগ্য দুটোর উপরেই পড়ে। ডান হাতে ধাতুর চেন এবং সোনা বা রুপোর ঘড়ি পরা শুভ বলে মনে করা হয়। ভাঙা বা বন্ধ ঘড়ি পরলে নেতিবাচক শক্তি আসে।

বাস্তু টিপস: যেভাবে বাড়ি তৈরির সময় বাস্তুর খেয়াল রাখা হয়, সেভাবেই আপনি যদি ঘড়ি পরার সময় কিছু নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে আপনার উন্নতি কেউ আটকাতে পারবে না। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঘড়ি শুধু সময় বলার যন্ত্রই নয়, এটি ব্যক্তির শক্তি এবং ভাগ্যের সঙ্গেও জড়িত। বাস্তুশাস্ত্র ও জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ডান হাত বেশি শুভ বলে মনে করা হয়। ডান হাতে ঘড়ি পরলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং কাজে সাফল্য আসে।

মনে করা হয় যে ডান হাতে ঘড়ি পরলে কাজে গতি আসে এবং জীবনে সাফল্য পাওয়া যায়। ঘড়ি শুধু ফ্যাশনের জন্যই নয়, বাস্তুর দৃষ্টিকোণ থেকেও পরা উচিত। সঠিক রঙ, ডান হাত এবং সঠিক ডিজাইন আপনার জীবনে আনন্দ এবং সাফল্য দুটোই আনতে পারে।

ধাতুর চেন বেশি শুভ

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঘড়ির রঙ ব্যক্তির জীবনকে প্রভাবিত করে। সোনা বা রুপোর ঘড়ি পরা খুব শুভ বলে মনে করা হয়। এই রঙগুলি ইতিবাচক শক্তি বাড়ায় এবং আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। ধাতুর চেনযুক্ত ঘড়িও শুভ বলে মনে করা হয়, কারণ এটি শরীরে শক্তির সঞ্চার বাড়ায়। এর বিপরীতে, চামড়ার স্ট্র্যাপযুক্ত ঘড়ি নেতিবাচক শক্তিকে আকর্ষণ করতে পারে, তাই এটি পরা এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়া, ভাঙা বা বন্ধ ঘড়ি কখনও পরা উচিত নয়, কারণ এটি বাধা এবং নেতিবাচক শক্তির ইঙ্গিত দেয়।

ডায়ালের আকার এবং ডিজাইন

বাস্তু অনুসারে, ঘড়ির ডায়ালেরও গুরুত্ব রয়েছে। মনে করা হয় যে যারা তাদের সামাজিক সম্পর্ক বাড়াতে চান বা সামাজিক পরিচিতি তৈরি করতে চান, তাদের চৌকো ডায়ালের ঘড়ি পরা উচিত। এতে সাফল্য এবং प्रतिष्ठा বৃদ্ধি পায় বলে বিশ্বাস করা হয়। শুভ মুহূর্ত বা শনিবারের মতো কোনো বিশেষ দিনে নতুন ঘড়ি পরা শনির কৃপা এবং সাফল্যের লক্ষণ বলে মনে করা হয়।

Disclaimer: এই আর্টিকেলে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা ধর্মগ্রন্থ, পণ্ডিত এবং জ্যোতিষীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। আমরা শুধু এই তথ্য আপনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি মাধ্যম। ব্যবহারকারীরা এই তথ্যগুলিকে কেবল তথ্য হিসাবেই গণ্য করুন।