হিন্দু ধর্মে শারদ পূর্ণিমা বা কোজাগরী পূর্ণিমার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে, কারণ এই রাতে দেবী লক্ষ্মী পৃথিবীতে আসেন। এই রাতে চাঁদের আলোর নীচে ক্ষীর রাখার পাশাপাশি, পুজো ও তার পরের দিনের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম পালন করলে সংসারে সুখ-সমৃদ্ধি আসে।

হিন্দু ধর্মে শারদ পূর্ণিমাকে অত্যন্ত পবিত্র ও শুভ রাত্রি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি কোজাগরী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। বিশ্বাস করা হয়, দেবী লক্ষ্মী এই রাতে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং ভক্তদের আশীর্বাদ করেন। এই পবিত্র রাতে, চাঁদ তার ষোলটি ধাপ পূর্ণ করে এবং এর রশ্মি অমৃত বর্ষণ করে। এই বছর কোজাগরী পূর্ণিমা ৬ অক্টোবর। কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে ক্ষীর বা পায়েশ তৈরি করে চাঁদের আলোর নীচে রাখার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এটি করলে জীবনে ইতিবাচক শক্তি আসে এবং দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ আসে। তবে, বাড়িতে সুখ, সমৃদ্ধি এবং মঙ্গল বয়ে আনার জন্য এই রাতে আরও বেশ কয়েকটি প্রতিকার করা যেতে পারে।

প্রচলিত বিশ্বাস ও হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিন মা লক্ষ্মী স্বর্গ থেকে মর্ত্যধামে নেমে আসেন। এবং যে সকল বাড়িতে সেদিন আলো জ্বলে, প্রদীপ জ্বলে সেখানে তিনি প্রবেশ করেন। সেই পরিবারের ব্যক্তিরা মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পান। তাঁদের সংসারে অভাব অনটন থাকে না।

* কোগাজরী লক্ষ্মী পুজোর পরের দিন কী করবেন?

ঘট হোক বা সরা বা লক্ষ্মী প্রতিমা পুজো, পরদিন বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। আসলে পুজোর পরদিন থাকে বিশ্রাম। এই দিনও পুজো করতে হয়। এমন দিনে মা লক্ষ্মীর সামনে প্রদীপ জ্বালালেও তা হাত ঘুরিয়ে দেখাতে নেই। পাশাপাশি দেবী প্রতিমা, ঘট বা সরা লাল শালু দিয়ে ঢেকে দিতে হয়। পুজো হওয়ার পরের পর দিন অর্থাৎ এ বছরের নিরিখে যদি দেখা হয়, ৬ অক্টোবর পুজো, ৭ অক্টোবর বিশ্রাম আর ৮ অক্টোবর দেবীর জন্য দেওয়া শালু খোলার পালা। সেইসঙ্গে মা লক্ষ্মীকে যে ধান দেওয়া হয়, তা বাড়ির লক্ষ্মীর ভাঁড়ে ঢুকিয়ে রাখতে হয়। প্রতিমা পুজো করলে এই দিনে বিসর্জন দিতে পারেন।