সংক্ষিপ্ত
পুজোয় ঘর সাজান মনের মতো করে! রইল অন্দর সাজানোর অত্যাধুনিক কিছু টিপস
পুজো মানেই নতুন জামা-কাপড় , সাজগোজ আর তার সঙ্গে ঘর গোছানো। ঘর গোছানো না হলে যেন ঠিক পুজো পুজো লাগে না। পুজোতে ঘর ভর্তি করে আসে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব। আর তার জন্য ঘর গোছানো না হলে ঠিক কী যেন একটা অসম্পূর্ণ বলে মনে হয়। তাই এই পুজোতেও ঘর সাজিয়ে ফেলতে পারেন নিজের মনের মতো করে।
পুজোর দিন গুলোয় ঘরের পর্দা, বিছানার চাদরের দিকে একটু বেশি খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ দিনে বিশেষ রঙের ব্যবহার করতে পারেন। এতে একেবারে অন্যরকম লাগবে আপনার ঘর। মনে হবে যেন নতুন কোথাও বেড়াতে এসছেন।
অন্দরের সাজ ঠিক থাকলে মনও ভীষণ ভাল থাকে। মন আনন্দে ভরিয়ে দিতে ভীষণ সাহায্য করে আপনার ঘরের সাজ। তাই পুজোর দিন ক'টায় ঘর গুছিয়ে একেবারে চমকে দিন আপনার আশপাশের মানুষকে।
বিছানার চাদরের রং- এই কয়েকটা দিন একটু ব্রাইট কালারের বেড কভার ব্যবহার করুন। অবশ্য তা যেন অবশ্যই ঘরের দেওয়ালের সঙ্গে মানানসই হয়। দেওয়ালের সঙ্গে বিছানার চাদরের রঙ না মিললে ভীষণ অদ্ভুত দেখায়। বিছানার চাদরে খুব বেশি প্রিন্ট ব্যবহার করবেন না। পারলে এক রঙের চাদর ব্যবহার করুন। বালিশের কভারের ক্ষেত্রে বিছানায় যে রঙের চাদর পেতেছেন সেই রঙেরই হালকা শেডের কভাব ব্যবহার করতে পারেন। অর্থাৎ বিছানার চাদরের রং যদি ডিপ সবুজ হয় তবে বালিশের ক্ষেত্রে হালকা সবুজ রঙের কভার ব্যবহার করতে পারেন।
পর্দার রং- এবার আসা যাক পর্দার রঙে। পর্দা সব সময় হালকা রঙের হতে হবে। তবে এর ক্ষেত্রেও দেওয়ালে ঠিক কী রং রয়েছে তার উপর নির্ভর করবে যে কী রঙের পর্দা বাছবেন। হালকা হলুদ, সাদা, পিচ, ক্রিম এই ধরনের রং ব্যবহার করতে পারেন। এতে ঘরে ভীষণ আলো খেলে। জানালার পর্দা যেন জানালা থেকে সামান্য বেশি ঝোলানো হয়। এতে ঘরের সাজ আরও সুন্দর হয়। বেড শিটের সঙ্গে কনট্রাস্টেও পর্দা ব্যবহার করতে পারেন।
হরেক রকম ম্যাট- বেশ কয়েকটা মেঝের ম্যাট কিনে আনুন। তবে বেশি বড় সাইজের ম্যাট লাগবে। সোফার সামনে গোল ম্যাট রাখতে পারেন। এ ছাড়া বিছানার নিচে লম্বা একটা বড় ম্য়াট রাখতে পারেন। এতে ঘরে একটা আলাদা সৌন্দর্য আসে। দরজার সামনে অবশ্যই বাছাই করা কোনও ম্যাট রাখবেন যাতে কেউ ঢুকলে সবার আগে তাঁর ম্যাটের দিকে চোখ যায়।
ওয়াল ম্যাগাজিন- পুজোর সময় বানিয়ে ফেলুন একটা ওয়াল ম্যাগাজিন। ঘরের যেকোনও দেওয়ালে নিজের মতো করে সাজি ফেলুন। কোলাজের কাজ, ছবি, বাড়ির লোকেদের লেখা সব দিয়ে একটা সুন্দর ম্যাগাজিন বানান। ঘরের এমন একটা দেওয়ালে রাখুন যাতে সবার চোখ পড়ে। তবে অবশ্যই যেন ওয়াল ম্যাগাজিনটা কালারফুল হয়।
পাতাবাহার- ঘরের কোণে কোণে সাজিয়ে রাখুন রঙ-বেরঙের পাতা বাহার। সব থেকে সহজে যে পাতা বাহার পাওয়া যায় তা হল মানি প্ল্যান্ট। কিছু না থাকলে কাঁচের জারে জল দিয়ে মানিপল্যান্ট বসিয়ে ঘরের মানানসই জায়গায় রেখে দিন।
খাবারের প্লেট- এখন মেলামাইন বা ফাইবারের বিভিন্ন প্লেট পাওয়া যায়। এইসব প্লেট দেখতেও ভীষণ আকর্ষণীয় হয়। পুজোতে অতিথিদের খাবার দিতে এই ধরনের প্লেট ব্যবহার করুন। পুজোর সময় একটা নতুন নতুন আমেজ আসবে।
সুগন্ধী- ঘর সাজাতে সুগন্ধও কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। পুজোর ক' দিন ঘরে যেন একটা অন্যরকম গন্ধ থাকে তার জন্য পছন্দসই একটা এয়ারফ্রেশনার ব্যবহার করুন। চাইলে পছন্দের আতরও বিছানার চাদরে বা পর্দায় ঘষে দিতে পারেন। এতে মনে হবে পুজো পুজো গন্ধ এসেছে।
গান- সকাল থেকে উঠে মন ভাল করা কিছু গান হালকা স্বরে চালিয়ে রাখুন। যাতে আর পাঁচটা দিনের থেকে এই দিনগুলো একেবারেই আলাদা হয়। তবে স্যাড সং একেবারেই নয়। এনার্জিটিক কোনও গান শুনুন। তবে সেই গান যেন বাড়ির সব সদস্যদের পছন্দ হয়। চাইলে ঢাকের আওয়াজও চালাতে পারেন।
ধুলো আর ঝুল- পুজোর সময় ঘরের কোণা কোণা পরিষ্কার করে রাখুন। যাতে ঘরের কোনও কোণে ধুলো বা ঝুল না থাকে। এতে ঘরের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। পুজোর আগে ঘরের ঝুল ও ধুলো ঝাড়া বাস্তুর জন্যেও অত্যন্ত ভাল। তাই অবশ্যই ঘরের প্রতিটি কোণা পরিষ্কার রাখতে হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।