সংক্ষিপ্ত
সুন্দর সাজসজ্জার সঙ্গে চুল যদি ঠিক না থাকলে চলে, তাই হাতে গোনা এই কয়েকদিনে মেনে চলুন ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি। যার সাহায্যে আপনি পেতে পারেন সুন্দর মোলায়েম চুল।
দরজায় কড়া নাড়ছে দুর্গাপুজো। হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। পুজোর আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজোর দিনগুলোতে কিভাবে সাজবেন, কি পড়বো সব কিছুর পরিকল্পনা। পুজোর সাজের সঙ্গে একঢাল সুন্দর চুল কে না চায়! সুন্দর সাজসজ্জার সঙ্গে চুল যদি ঠিক না থাকলে চলে, তাই হাতে গোনা এই কয়েকদিনে মেনে চলুন ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি। যার সাহায্যে আপনি পেতে পারেন সুন্দর মোলায়েম চুল।
তেল-
শুধুমাত্র শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার না, তার পাশাপাশি দরকার চুলে তেল দেওয়া। তেল চুলের পুষ্টি যোগায়। ভালো ফল পাওয়ার জন্য একটা বাটিতে নারকেল তেল নিয়ে সেটা হালকা গরম করে নিয়ে লাগাতে পারেন। সপ্তাহে দুবার না পারলেও একবার অন্তত তেল মালিশ করুন, চেষ্টা করবেন স্ক্যাল্পে ভালো করে তেল দেওয়ার, কারণ চুলের লম্বা অংশে তেল লাগিয়ে সেরকম বিশেষ উপকার পাবেন না। চুলে তেল লাগিয়ে বাইরে বেরোবেন না, খুব তাড়াতাড়ি ধুলোময়লা টেনে নেয়। আর তেল লাগানোর পর চুল আঁচড়াতে চাইলে মোটা দাঁড়ার চিরুনি ব্যবহার করুন। এছাড়া তেল লাগিয়ে খুব টাইট করে চুল বাঁধবেন না।
শ্যাম্পু-
সঠিক শ্যাম্পু বাছুন। আপনার চুলের জন্য উপযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন, আপনার চুলের ধরণ অনুযায়ী সঠিক শ্যাম্পু না বাছলে চুলের উপকার হবে না। উল্টে ক্ষতি হতে পারে। যেমন খুশকির সমস্যা থাকলে ব্যবহার করুন অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু। চুলে রং করা থাকলে ব্যবহার করুন কালার গার্ড যুক্ত শ্যাম্পু। এছাড়া চেষ্টা করবেন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করার। রোজকার বাইরে বেড়োনোর ফলে আমাদের স্ক্যাল্পে ধুলো, ময়লা জমতে থাকে। সেগুলো পরিষ্কার করা খুব জরুরি। তাই খুব বেশি দিন অন্তর শ্যাম্পু করা উচিত নয়।
কন্ডিশনার-
শ্যাম্পুর পর চুলের কন্ডিশনিং করা অত্যন্ত জরুরি। চুলে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার না দিলে চুল রুক্ষ ও ফ্রিজি হয়ে যেতে পারে। চুল মোলায়েম রাখতে সাহায্য করে কন্ডিশনার। তবে মাথায় রাখবেন স্ক্যাল্পে যেন কন্ডিশনার না লাগে। স্ক্যাল্পে কন্ডিশনার লাগলে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যেতে পারে।
হেয়ার মাস্ক/হেয়ার স্পা-
বাড়িতে বানিয়েও ট্রাই করতে পারেন হেয়ার মাস্ক। এছাড়া কোনও ভালো ব্র্যান্ডের হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। পুজোর আগে যদি আপনার চুলের ধরণ অনুযায়ী হেয়ার স্পা করিয়ে নিতে পারেন তাহলে ভাল ফল পাবেন। তাছাড়া আপনি বাড়িতেও হেয়ার স্পা করতে পারেন। এছাড়া যে জিনিসগুলি মাথায় রাখা দরকার তা হল খাওয়া-দাওয়া। সবুজ জিনিস বেশী করে খাওয়া উচিত। শাক, সবজি, ফলমূল, সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস হল প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। চুল আঁচড়ানোর হলে কাঠের চিরুনি ব্যবহার করতে পারলে সবচেয়ে ভালো।
এতো গেল চুলের যত্ন এবার জেনে নিন ত্বকের কথা। হালকা সাজেই পুজোয় হয়ে উঠুন মোহময়ী। পুজোয় হালকা সেজেই পুজোতে কিভাবে হয়ে উঠবেন মোহময়ী জেনে নিন। পুজোর সাজগোজ সাধারণত নির্ভর করে পুজোর সময়ের ওপর এবং কোন সময়ে বেরোনো হচ্ছে তার ওপর। সকাল বেলা তো খুব ভারী মেকআপ করে বেরনো যাবে না আর রোদের মধ্যে তা কষ্টকরও। আবার রাতে সবই জমজমাট, তখন আবার খুব হালকা মেকআপ করে বেরনো যাবে না।
তাই এশিয়ানেট নিউজ বাংলার পক্ষ থেকে রইলো আপনাদের জন্য পুজোর মেকআপের কিছু টিপ্স। সকালে জিনসের সঙ্গে হালকা মেকআপের জন্য গাঢ় কাজল আর নুড শেডের লিপস্টিক ই যথেষ্ট। মোটের উপর সিম্পল লুকের জন্য সরু আইলাইনার আর রেডিশ টিন্টেড ঠোঁটই যথেষ্ট। এথনিক ড্রেসের সঙ্গে চোখে মোটা কাজল, মসৃণ ম্যাট ত্বক আর গাঢ় ওয়াইন রঙের লিপস্টিকে অষ্টমীর সন্ধ্যে হবে জমজমাট। চড়াও নয় আবার খুব হালকাও নয় এরকম ব্যালান্সড লুক পেতে হলে হালকা ভাবে মাস্কারা আর নুড আইশ্যাডো দিয়ে চোখ ডিফাইন করে নিন আর পিঙ্ক বা ব্রাউন ন্যুড লিপস্টিক ব্যবহার করুন। ওয়ান পিসের সঙ্গে এই লুক বেশ মানাবে।
পুজোর যদি সকালে বাইরে যান, তাহলে হালকা মেক-আপই ভালো। সে ক্ষেত্রে রোদে ঘেমে কষ্ট ও হবে না, আর মেক-আপ গলে গিয়ে ঘেটেও যাবে না। সেক্ষেত্রে হালকা বিবি বা সিসি ক্রীম এবং কম্প্যাক্ট ব্যবহার করে নিয়ে মেক-আপ সেরে ফেলুন। হালকা কাজল, লাইনার, পছন্দসই লিপস্টিক দিয়ে সেরে ফেলুন মেক-আপ।
দিন হোক বা রাত প্যান্ডাল হপিং মানেই নতুন ড্রেসে ঘেমে নেয়ে একসা। তাই এই সময় একটু হালকা মেকআপ করাই ভালো। হালকা রঙের যে কোনও পোশাকের সঙ্গে ফাউন্ডেশন, ফেস পাউডার, হালকা লিপস্টিক আর কাজলই যথেষ্ট। ভারী মেকআপ করলে ওয়েস্টার্ন পোশাক এড়িয়ে চলুন। ওয়ান পিসের সত্যে ম্যাট ফিনিশ লুকই ফ্যাশন ইন।
এথনিক এর জন্য স্মোকি আইস লুক আর ডিফাইন্ডড লিপস্ খুব ভালো যায়। সেই সঙ্গে পোশাক মানানসই টিপ ও পড়তে পারেন। ওয়াটার বেসড ফাউন্ডেশন ঘাড়ে, মুখে,গলায় লাগিয়ে নিন। চোখে গাঢ় রঙের আই শ্যাডো দিয়ে স্মোকি আই করে নিন। আইলাইনার আর মাস্করার যথোপযোগ ব্যবহার করুন। আর ঠোঁট একে সুন্দর করে পছন্দমতো টেক্সচার অনুযায়ী লিপস্টিক লাগিয়ে নিন। পুজোর চারটে দিনে নিজেকে যত্নে রাখুন সাজুন আর সবার সঙ্গে মজা করুন আর স্বাস্থ্যকর খাবার খান।