সংক্ষিপ্ত

টোকিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী পদকজয়ীরা সহ সকল ভারতীয় অ্যাথলিটদের সঙ্গে নিজের বাসভবনে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে ১৫ অগাস্ট দিল্লির লালকেল্লার অনুষ্ঠানেও সকল অ্যাথলিটদের সংবর্ধনা জানিয়েছেন মোদী।
 

টোকিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী পদকজয়ীরা সহ সকল ভারতীয় অ্যাথলিটদের সঙ্গে নিজের বাসভবনে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে ১৫ অগাস্ট দিল্লির লালকেল্লার অনুষ্ঠানেও সকল অ্যাথলিটদের সংবর্ধনা জানিয়েছেন নমো। বাসভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অলিম্পিয়ানদের সাক্ষাতের ভিডিও সামনে এসেছে। সেখানে পদক জয়ীদের সংবর্ধনা, অন্য়ান্যদের মনের জোর বাড়ানো, খোশ মেজাজে আড্ডা থেকে দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রের উন্নতি সব বিষয়েই আলোচনা হয়। 

অনুষ্ঠানে অলিম্পিক অ্যাথলিটদের সঙ্গে প্রতিটি টেবিলে গিয়ে আলাদাভাবে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সিন্ধুর সঙ্গে আইসক্রিম খাওয়া থেকে নীরজ চোপড়ার সঙ্গে চুরমা, সে সব কিছুই আমাদের জানা। তবে এই অনুষ্ঠানে অ্যাথলিটদরে সঙ্গে মোট ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন মোদী। সেই বিষয়গুলি হল-

১. খেলাধুলাকে জীবনের স্বাভাবিক অংশে পরিণত করতে হবে, কোনো ক্রীড়াবিদকে কখনোই মাঠ ছাড়তে হবে না। শুধু তাই নয়, মোদী বলেছেন যে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের উচিত আমার কাছে তাদের সমস্যার কথা লেখা এবং তাদের মতামত দেওয়ার পাশাপাশি ক্রীড়া ব্যবস্থাকে উন্নত করার পরামর্শ দেওয়া।

২. আলোচনার সময়, মহিলা হকি, শুটার, তীরন্দাজ এবং সাঁতারুরা তাদের পারফরমেন্সের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন চেয়েছিল। তাদের মনোবল বাড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, 'খেলাধুলায় তাদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গর্বের বিষয় এবং খেলাধুলায় জয় এবং পরাজয় স্বাভাবিক।' তিনি খেলোয়াড়দের আশ্বস্ত করেছিলেন যে তাদের প্রত্যেকেই একজন চ্যাম্পিয়ন। একইসঙ্গে বলেছেন, জয়কে আপনার মাথায় উঠতে দেবেন না,পরাজয়কে আপনার মনে স্থির হতে দেবেন না।

৩. ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে আলোচনার সময় এককটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের বিষয়ে বলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, বাবা -মা যখন তাদের সন্তানদের খেলাধুলা করতে সাহায্য করবে, তখন খেলোয়াড়রা অনেক বেশি উৎসাহ, সাহস ও সাহায্য পাবে। খেলাধুলা করা তরুণদের মধ্যে সবচেয়ে বড় বাধা হল তাদের বাবা -মায়ের প্রতিরোধ, যারা মনে করে যে খেলায় কোনও সুনিশ্চিৎ আয় বা ভবিষ্যৎ নেই। এমন পরিস্থিতিতে বাবা -মায়ের উচিত তাদের সন্তানদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করা।

৪. প্রধানমন্ত্রী ক্রীড়াবিদদের ১৫ অগাস্ট ২০২৩-এর মধ্যে ৭৫ টি বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে বলেন এবং তাদের দুটি দিকের দিক দেখার কথা বলেন। অপুষ্টির মোকাবেলা এবং শিশুদের সাথে খেলা যাতে খেলাধুলার প্রতি তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। তিনি বলেছিলেন যে যখন তরুণ ছাত্ররা তাদের স্কুলে তাদের ক্রীড়া নায়কদের দেখে, তখন এটি তাদের উপর একটি ভাল ছাপ ফেলে।

৫.  শুধু তাই নয়, বক্সার লাভলিনার মায়ের শারীরিক পরিস্থতির খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী, ট্রাক চালকদের সংবর্ধনার জানানোর জন্য মীরাবাই চানুর প্রশংসা করেন, প্রধানমন্ত্রী কুস্তিগীর রবি দহিয়াকে আরও হাসতে এবং খুশি থাকতে বলেছেন। ভিনেশ ফোগটকেও নিজের প্রতি হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মোদী। সব মিলিয়ে মোদীর সঙ্গে ভারতীয় অিম্পিক অ্যাথলিটদরে সাক্ষাৎ একদিকে ছিল যেমন আনন্দের, আড্ডার, ঠিক তেমনই ভারতীয় ক্রীড়া ক্ষেত্রের উন্নয়নের প্রাথমিক রূপরেখাও তৈরি করা হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে।

YouTube video player