সংক্ষিপ্ত
- বিসিসিআই-র ঘরোয়া ক্রিকেটে নতুন রেকর্ড অভিমন্যু মিঠুনের
- এক ওভারে পর পর হ্যাটট্রিক সহ ৫ উইকেট মিঠুনের
- সকালে পুলিশের সমন আসা সত্বেও দুরন্ত বোলিং মিঠুনের
- সৈয়দ মুস্তাক আলির ফাইনালে উঠলো কর্ণাটক
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনালে উঠলো কর্ণাটক। রোমাঞ্চকর ম্যাচে দুরন্ত লড়াইয়ে বিসিসিআই-র টি২০ টুর্নামেন্টের ফাইনালে কর্ণাটক। তবে শুক্রবারের ম্যাচে চমক দিলেন কর্ণাটকের পেস বোলার অভিমন্যু মিঠুন। এক ওভারে হ্যাটট্রিক সহ পাঁচ উইকেট নিয়ে শুক্রবার ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে নতুন নজির কর্ণাটকের পেসারের। সেই সুবাদে ২০০ রানের গণ্ডি টপকানোর চেষ্টা করলেও সেটা বৃথা হল কর্ণাটকের শেষ চারের প্রতিপক্ষ হরিয়ানার। অপরদিকে সেই রান মাত্র ১৫ ওভারে তুলে খেলা শেষ করল কর্ণাটকের ব্যাটসম্যানরা।
শুক্রবার সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনালে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কর্ণাটকের অধিনায়ক মণীষ পাণ্ডে। তবে ফিল্ডিং নিয়ে প্রত্যাশা মতন কাজ প্রথমে করতে পারেননি কর্ণাটকের বোলাররা। নির্ধারিত ২০ ওভারের ম্যাচে ১৯ ওভারে ১৯৩ রান করে ফেলেছিল হরিয়ানা দল। তবে সেখানেই শেষ মুহূর্তে খেলা ঘুড়িয়ে দিলেন কর্ণাটকের বোলার অভিমন্যু মিঠুন। সকালে কর্ণাটক প্রিমিয়ার লিগে স্পট ফিক্সিংয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য মিঠুনকে সমন পাঠিয়েছে পুলিশ। আর সেই কারণে এবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁকে। তবে সকালে এই ঘটণা ঘটলেও, খেলার মাঠে এই বিষয় নিয়ে ব্যাকফুটে ছিলেন না মিঠুন। বল হাতে এদিন এক ওভারে পর পর ৪ উইকেট, হ্যাটট্রিক সহ পাঁচ উইকেট নেন মিঠুন। সেই সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে কর্ণাটককে ১৯৬ রানের লক্ষ্য দেয় হরিয়ানা।
অপরদিকে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৫ ওভারে রান তুলে নেয় কর্ণাটক। লোকেশ রাহুলের ব্যাট থেকে আসে ঝড়ঝড়ে ৬৬ রানের ইনিংস। ৩১ বলে ৬৬ করেন তিনি। একই সঙ্গে ৪২ বলে ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন দেবদুত পাডিকাল। ১৪ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও ৩ বলে ৩ করে অপরাজিত ছিলেন মণীষ পাণ্ডে। সেই সুবাদে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে সৈয়দ মুস্তাল আলির ফাইনালে উঠলো কর্ণাটক।