সংক্ষিপ্ত

  • করোনার কারণে স্থগিত হয়ে গেল কালনার সায়নী দাসের পরবর্তী লক্ষ্য
  • আগস্ট মাসে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মলোকাই চ্যানেল পার লক্ষ্য ছিল সায়নীর
  • কিন্ত করোনা ভাইরাসের কারণে বাধ্য় হয়ে সফর বাতিল করতে হয়েছে তাকে
  • তিনটি চ্যানেল পার করলেও, চতুর্থটির জন্য অপেক্ষা বাড়ল বাংলার 'সাগরিকার'
     

স্বপ্ন তার সপ্ত সিন্ধু পার করা। ইতিমধ্যেই  তিনটি সাগর ইংলিশ চ্যানেল, রটনেস্ট চ্যানেল ও ক্যাটলিনা চ্যানেল পার করে নজির গড়েছেন কালনার সায়নী দাস। বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল করেছেন দেশ তথা বাংলার নাম। একের পর এক সাগর পেরোনোয়া তার নাম দেওয়া হয়েছে 'সাগরিকা'। তিনের পর এবার সায়নীর লক্ষ্য ছিল চার নম্বর। চতুর্থ হার্ডল হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন ভয়াবহ মলোকাই চ্যানেল পেরনোর। রাত-দিন এক করে নিজেকে প্রস্তুতও করেছিলেন সায়নী। শুধু অপেক্ষা ছিল জবে নামার। এবার কালনার সায়নীর স্বপ্নেও বাধা হয়ে দাঁড়াল করোনা ভাইরাস। সাময়িকভাবে থমকে গেল সায়নীর স্বপ্ন।

আরও পড়ুনঃগড়াপেটায় রাজি না হওয়ায় হুমকি দিয়েছিল উমর,বিস্ফোরক অভিযোগ প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারের

টিকিট কাটা, কটেজ বুকিং, সাঁতারের সরঞ্জাম কেনা সবই হয়ে গিয়েছিল সায়নী। যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিল বঙ্গ তনয়া। এশিয়া মহাদেশের প্রথম সাঁতারু হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের ৪৪ কিমি দীর্ঘ মলোকাই চ্যানেল জয় করতে মা-বাবাকে নিয়ে সায়নীর রওনা হওয়ার কথা ছিল ১৬ আগস্ট। কিন্তু করোনা ভাইরাস মহামারীর কারে রাজ্য তথা দেশে বাড়চে ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। পরিস্থিতি সামাল দিতে চলচে লকডাউন। বন্ধ রয়েছে সমস্ত আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবাও। এই পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই হাওয়াই দ্বীপপূঞ্জে যাওয়া সম্ভব নয় সায়নীর। তাই ভারাক্রান্ত 'সাগরিকার' মন।

আরও পড়ুনঃধোনির জন্যই সফল হয়েছে রোহিত শর্মা, মন্তব্য গৌতম গম্ভীরের

আরও পড়ুনঃটোকিও অলিম্পিক নিয়ে আশাবাদী আইওএ,২০৩২ অলিম্পিক্সের জন্য ঝাঁপাতে চায় ভারত

অপরদিকে,হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের সায়নীর পাইলট ইভান সিগাকি জানিয়ে দেন, সেখানে করোনার থাবা ক্রমশ ভয়াল চেহারা নিচ্ছে। তাই প্রোগ্রাম স্থগিত। স্থগিত হওয়ায় প্রায় ২ লাখ টাকা গচ্চা গেল সায়নীর। কালনা শহরের বারুইপাড়ায় নিজের বাড়িতে বন্দি সায়নীর আক্ষেপ, মলোকাই চ্যানেল ভয়ঙ্কর। প্রবল হিমস্রোত আর পদে পদে বিশাল হাঁ বাড়িয়ে হাঙরের ধেয়ে আসা। তাও শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু সব ভেস্তে গেল। প্রস্তুতির কথা জানাতে গিয়ে সায়নীর বাবা কাম কোচ রাধেশ্যাম দাস জানান, ভাগীরথী ও পুকুরে নিয়মিত অনুশীলন ছিল। তাছাড়া পুরীর সমুদ্রে টানা এক সপ্তাহ ৫ ঘন্টা করে ও কলকাতার সুইমিং পুলে টানা ১৫ ঘন্টা সাঁতরেছে। সবকিছু ভেস্তে যাওয়ায় হতাশা গেড়ে বসেছে সায়নীর পরিবারে। ঘরে বসে পড়াশোনা আর মোবাইল-কম্পিউটার ঘেঁটেই সময় কাটছে সায়নীর। আর অপেক্ষা কবে সব স্বাভাবিক হবে। কবে মলোকাইয়ের উতল জলে ঝাঁপাবে। সপ্তসিন্ধু জয়ের চার নম্বর হার্ডল পেরিয়ে ভারতের তেরঙা ঝাণ্ডা আকাশে তুলে ধরবে।