সংক্ষিপ্ত

কমনওয়েলথ গেমসের আগে থেকেই ফর্মে ছিলেন নিখাত জারিন। তেলেঙ্গানার এই সাহসী কন্যাকে নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি গত কয়েক বছরে। যিনি টোকিও অলিম্পিকের আগে মেরি কমকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। নিখাতের সেই স্পর্ধা যে অহেতুক নয়, তার প্রমাণ এখন তিনি দিচ্ছেন। 
 

কমনওয়েলথ গেমসে রবিবার ভারতের বক্সাররা কামাল করে দিয়েছেন। একই দিনে এই বক্সিং থেকে তিনটি সোনা এনেছে ভারত। এদিন শুরুতেই ভারতের নিতু ঘানঘাস এবং অমিত পঙ্গল দুটো সোনা আনেন বক্সিং-এর যথাক্রমে মহিলাদের মিনিমামওয়েট ক্যাটিগরি এবং পুরুষদের ৫১কিলো বিভাগে। এরপর বক্সিং-এর সোনা জয়ের আশা জ্বালিয়ে রেখেছিলেন নিখাত জারিন। মহিলাদের লাইওয়েট বিভাগের ফাইনালে তিনি নর্দান আয়ারল্যান্ডের অভিজ্ঞ বক্সার কার্লি ম্যাকনল-কে কুপোকাত করে দেন।  

বার্মিংহামেই কমনওয়েলথ গেমসে নিখাতের অভিষেক ঘটিয়েছেন। আর আবির্ভাবেই কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতে নিলেন তিনি। নর্দান আয়ারল্যান্ডের বক্সার কার্লি ম্যাকনলকে তিনি ৫-০ পয়েন্টে হারিয়ে দেন। চলতি বছরটা বেশ ভালোভাবেই শুরু করেছেন নিখাত জারিন। ঐতিহ্যশালী স্ট্র্যানডজা মেমোরিয়াল টুর্নামেন্টে তিনি সোনা জিতেছিলেন। এর পরপরই তিনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়য়নশিপেও সেরা হন। তেলেঙ্গানার মেয়ে নিখাত কমনওয়েলথ গেমসের আগে নিজের ওজন ক্যাটিগরি বদলে নেন। ৫২কিলো বিভাগ থেকে তিনি ৫০ কিলো ওজনের বিভাগে চলে আসেন। এর জন্য নিখাতকে ওজন কমাতেও হয়েছে। এদিন বক্সিং রিঙের মধ্যে সারাক্ষণ ছটপট করতে দেখা যায় নিখাতকে। বিশেষজ্ঞদের মতে নিখাতের এই চনমনে ভাব প্রতিপক্ষের উপরে মানসিক চাপ তৈরি করেছিল। এর সঙ্গে অতি সুন্দরভাবে নিখাত এদিন রিঙের মধ্যে ল্যান্ডিং হুকস এবং টাইট জ্যাবকে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করে দেন। এর সঙ্গে খুব সুন্দরভাবে ডিফেন্সও করেন নিখাত। যার ফল হল সোনার পদক।