সংক্ষিপ্ত

ভারতের নিউজিল্যান্ড সফরে টি-২০ দলের অধিনায়ক করা হয়েছে হার্দিক পান্ডিয়াকে। তাঁকে কি এবার পাকাপাকিভাবে অধিনায়ক করা হচ্ছে?

এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে শেষপর্যন্ত ভারতীয় দলের ফল যা-ই হোক না কেন, বিসিসিআই সূত্রে খবর, ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পরের টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২৪ সালে। সেই বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই নতুন পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেই পরিকল্পনায় বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও পরবর্তী অধিনায়ক নেই। হার্দিক পান্ডিয়াকে ভারতের টি-২০ দলের অধিনায়ক করা হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে। বিরাটকে শুধু ওডিআই এবং টেস্ট ম্যাচ খেলতে বলা হবে। রোহিতকেও একই নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। ভারতীয় দলের ভবিষ্যতের অধিনায়ক হিসেবে হার্দিক ছাড়াও ঋষভ পন্থ ও কে এল রাহুলের নাম ভাবা হচ্ছে। আগামী বছর ওডিআই বিশ্বকাপের পর রোহিতের বদলে অন্য কাউকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। বিরাটের বয়স এখন ৩৪। রোহিতের বয়স হয়ে গিয়েছে ৩৫ বছর। এই দুই ক্রিকেটারেরই কেরিয়ার শেষের দিকে। সেই কারণেই ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যতের কথা ভেবে নতুন পরিকল্পনা করছে বিসিসিআই।

এ প্রসঙ্গে বিসিসিআই-এর এক কর্তা জানিয়েছেন, “টি-২০ বিশ্বকাপের পর বিরাট ও রোহিতের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনায় বসবেন জাতীয় নির্বাচক ও বিসিসিআই এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্যরা। এমন নয় যে এই দুই ক্রিকেটারকে জোর করে একটি ফর্ম্যাটে খেলা ছেড়ে দিতে বলা হবে। কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে, এই দুই ক্রিকেটারেরই বয়স ৩০-এর মাঝামাঝি। এই দুই ক্রিকেটারই ভারতীয় দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলাতে হবে এবং বিশ্রাম দিতে হবে। বড় সিরিজ আর আইসিসি টুর্নামেন্টে যাতে ওরা খেলতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু অধিনায়ককে বারবার বিশ্রাম দেওয়া যায় না। বিশ্বকাপের পর যেহেতু টি-২০ ফর্ম্যাটের উপর আর ততটা গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন হবে না, সেই কারণে আস্তে আস্তে রোহিতকে এই ফর্ম্যাট থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। ওর বদলে হার্দিক, কে এল, ঋষভকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।”

বিসিসিআই-এর এই কর্তা আরও জানিয়েছেন, “হার্দিক ও ঋষভ দু'জনেই অধিনায়ক হিসেবে ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। ওরা দু'জনেই আইপিএল-এ অধিনায়কত্ব করেছে। ওদের নিজেদের প্রমাণ করার জন্য অনেকটা সুযোগ পাবে। তবে কেএল-ও অধিনায়কত্ব করতে পারে। ও বিরাট, রোহিতের কাছ থেকে অনেককিছু শিখেছে। তবে ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপের পরেই এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে পারে। আপাতত রোহিত ও বিরাটকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানো হবে। তাঁদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়া হবে।”