সংক্ষিপ্ত
রাজস্থান রয়্যালসের জস বাটলারকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে ভক্তরা ক্ষুব্ধ। অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে পরিকল্পনাহীন বলে মনে করছেন।
আইপিএল নিলামে রাজস্থান রয়্যালস ছয়জন খেলোয়াড়কে ধরে রেখেছে। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন (১৮ কোটি), যশস্বী জয়সওয়াল (১৮ কোটি), রিয়ান পরাগ (১৪ কোটি), ধ্রুব জুরেল (১৪ কোটি), শিমরন হেটমায়ার (১১ কোটি) এবং সন্দীপ শর্মা (৪ কোটি)। ১১ কোটি দিয়ে হেটমায়ারকে ধরে রেখে বাটলারকে ছেড়ে দেওয়ায় ভক্তরা হতাশ। ধ্রুব জুরেলের জন্য ১৪ কোটি ব্যয়ও ভক্তদের অসন্তুষ্টির কারণ।
এই বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার ঝড় তুলেছে। ভক্তরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে পরিকল্পনাহীন বলে মনে করছেন। বাটলার, চাহাল এবং ট্রেন্ট বোল্টকে ছেড়ে দেওয়া ভক্তদের আরও ক্ষুব্ধ করেছে। গত মৌসুমে বাটলার ৩৫৯ রান করেছিলেন। আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী চাহাল গত মৌসুমে ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন। গত ২০২২ সালের নিলামে বেঙ্গালুরু ছেড়ে দেওয়া চাহালকে ৬.৫ কোটিতে রাজস্থান দলে নিয়েছিল। হেটমায়ারের জন্য ব্যয়ও বেশি বলে মনে করছেন ভক্তরা। অনেকেই মনে করেন হেটমায়ারের পরিবর্তে বাটলারকে ধরে রাখা উচিত ছিল। মেগা নিলামে রাজস্থানের পার্সে ৪১ কোটি টাকা আছে। রইল সোশ্যাল মিডিয়াতে আলোচনার কিছু মুহূর্ত।
২০২২ সালের নিলামে ২০ লক্ষ টাকায় ধ্রুব জুরেল রাজস্থানে এসেছিলেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে অভিষেক হওয়া জুরেল বর্তমানে টেস্ট দলের ব্যাকআপ উইকেটরক্ষক। বাটলারকে ছেড়ে দেওয়ায় জুরেলকে ওপেনার হিসেবে খেলার সুযোগ আসতে পারে। জোস বাটলারকে ছেড়ে দেওয়ায় সঞ্জুর ব্যাকআপ হিসেবে জুরেলকে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করছেন অনেকে। অথবা সঞ্জু নিজেই ওপেন করতে পারেন।
গত পাঁচ বছর ধরে ভারতের হয়ে না খেলার কারণে সন্দীপ শর্মাকে আনক্যাপড খেলোয়াড় হিসেবে ধরে রাখতে পেরেছে রাজস্থান। গত মৌসুমে রাজস্থানকে প্লে-অফে নিয়ে যেতে সঞ্জু (৫৩১ রান) এবং পরাগের (৫৭৩ রান) ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৩ সালের নিলামে কেউ না নেওয়া সন্দীপকে ৫০ লক্ষ টাকায় রাজস্থান দলে নিয়েছিল। গত মৌসুমে ১৩ উইকেট নিয়ে সন্দীপ দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।