সংক্ষিপ্ত

কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকরের কেরিয়ারে সবচেয়ে বেশি অবদান দাদা অজিত তেন্ডুলকরের। তবে সচিনের জীবনে বাবা রমেশ তেন্ডুলকরেরও যথেষ্ট অবদান রয়েছে।

১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ডে ওডিআই বিশ্বকাপ চলাকালীন প্রয়াত হন সচিন তেন্ডুলকরের বাবা রমেশ তেন্ডুলকর। এই পারিবারিক বিপর্যয়ের খবর পেয়ে দেশে ফিরে এসেছিলেন সচিন। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি তিনি। বাবার শেষকৃত্য সেরে ইংল্যান্ডে ফিরে দলে যোগ দিয়েই কেনিয়ার বিরুদ্ধে শতরান করে প্রয়াত বাবাকে উৎসর্গ করেন সচিন। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে সেটি অন্যতম আবেগপ্রবণ ঘটনা। তারপর থেকে প্রতিবারই শতরান করার পর আকাশের দিকে তাকিয়ে বাবাকে স্মরণ করতেন সচিন। সেই দৃশ্য দেখে ক্রিকেটপ্রেমীরাও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তেন। এত বছর পরেও বাবার প্রতি একইরকম শ্রদ্ধাশীল সচিন। রবিবার আন্তর্জাতিক পিতৃ দিবসে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে বাবাকে স্মরণ করলেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় সচিন লিখেছেন, ‘আমার বাবা আমাকে ভালোবাসতেন। তিনি কখনও কড়া মেজাজের ছিলেন না। তাঁকে আমি কখনও ভয় পেতাম না। তিনি সবসময় ভালোবেসে সব কাজ করতেন। তিনি আমাকে অনেককিছু শিখিয়েছিলেন। তিনিই আমার পৃথিবী। তাঁর চিন্তা-ভাবনা, মূল্যবোধ এবং সন্তান পালন করার ভাবনা সময়ের চেয়ে এগিয়েছিল। তোমার অভাব অনুভব করি বাবা।’

 

 

সচিন বারবার তাঁর কেরিয়ারে বাবার অবদানের কথা উল্লেখ করেছেন। দাদার পাশাপাশি মা-বাবার কথাও উল্লেখ করেছেন মাস্টার ব্লাস্টার। তিনি সবসময় বলেছেন, পরিবারের অবদান না থাকলে এই জায়গায় কখনও পৌঁছতে পারতেন না। বাবার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে সবসময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। রবিবার আন্তর্জাতিক পিতৃ দিবসেও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন সচিন

সম্প্রতি সচিনের প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অলরাউন্ডার আবদুল রাজ্জাক। তিনি ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, ‘সচিন তেন্ডুলকর চিরকাল বিশ্বমানের ব্যাটার হিসেবেই থেকে যাবেন। তিনি যত বড় তারকা এবং তাঁর যত অনুরাগীর সংখ্যা, তাতে এটা বলার কোনও দরকার ছিল না যে তিনি যত বোলারকে খেলেছেন, তাদের মধ্যে আবদুল রাজ্জাকের বোলিং সামলাতে গিয়েই সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন। আমি বুঝতে পারছি না সচিন কেন আমার নাম করলেন। তিনি গ্লেন ম্যাকগ্রাথ, ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিস, কার্টলি অ্যামব্রোজ, কোর্টনি ওয়ালশ, মুথাইয়া মুরলীধরন, শেন ওয়ার্নের কথা বলতে পারতেন। কিন্তু এটাই তাঁর মহত্ব। তিনি আমার প্রতি অত্যন্ত সদয়।’

কেরিয়ারে একাধিকবার রাজ্জাকের বলে বোল্ড হয়েছেন সচিন। ন'য়ের দশকে বা তার পরবর্তীকালেও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছিল সচিন-রাজ্জাক লড়াই। সেই কারণেই হয়তো পাকিস্তানের এই প্রাক্তন অলরাউন্ডারকেই সেরা বলে উল্লেখ করেছেন সচিন।

আরও পড়ুন-

Ajinkya Rahane: ক্রিকেট থেকে সাময়িক বিশ্রাম, স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে বিনোদন পার্কে অজিঙ্কা রাহানে

একবিংশ শতাব্দীতে টেস্টে সর্বাধিক ব্যবধানে জয়, নতুন নজির বাংলাদেশের

সরকার অনুমতি দিলে তবেই ওডিআই বিশ্বকাপে দল পাঠানো যাবে, আইসিসি-কে জানাল পিসিবি