সংক্ষিপ্ত

দুবাইতে চার বছর কাজ, বিয়ে এবং মাতৃত্বের পর ক্রিকেট বিশ্বকাপ তাঁকে তাঁর বাবা বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দিয়েছে।

সামিয়ার কাছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ মানে বাড়ি ফেরা। বিদেশ-বিভুই-এ বিয়ের পর এই প্রথম বাপের বাড়ি আসছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার হাসান আলির স্ত্রী সামিয়া আরজু। দুবাইতে চার বছর কাজ, বিয়ে এবং মাতৃত্বের পর ক্রিকেট বিশ্বকাপ তাঁকে তাঁর বাবা বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দিয়েছে।

সানুয়া আরজু হরিয়ানার নুহ জেলার চান্দাইনি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এয়ার এমিরেটসে একজন প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করছেন। তিনি এবং তার মেয়ে বিশ্বকাপের জন্য পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলের সাথে থেকে তাদের পরিবারের সাথে থাকার জন্য সময় নিয়েছেন।

মজার ব্যাপার হলো, হাসান ও সামিয়ার ২ বছরের মেয়ে হেলেনা হাসান আলী প্রথমবারের মতো ভারতে আসছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হাসান আলি আহমেদাবাদে দলের সঙ্গে থাকার সময় সামিয়া ও মেওয়াত একদিন আগে দিল্লিতে আসেন। পাকিস্তান জাতীয় দলে হাসান আলীর নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সাথে সাথে সামিয়ার পরিবার তাদের মেয়ে, নাতি এবং জামাইয়ের সাথে দেখা করার জন্য কাউন্টডাউন শুরু করে।

সামিয়া আরজু তার বাবা-মা এবং ভাইবোনদের সঙ্গে গুরুগ্রামে তার বাবার অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন। পরিবার বলছে, তার স্বজনরা তাদের জন্য তাদের নিজ গ্রাম চান্দাইনিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

যাইহোক, তার পরিবার সামিয়া আরজু'র পরিকল্পনাকে প্রোটোকল এবং নিরাপত্তার কারণে গোপন রেখেছে।

সামিয়া আরজুর বাবা লিয়াকত আলী এ প্রতিবেদককে বলেন, বাড়িতে তৈরি সব খাবারই সামিয়ার পছন্দের।

সামিয়া আরজুর ভাই আকবর আলী চান্দাইনি সাংবাদিকদের জানান, সামিয়া মঙ্গলবার ভারত সীমান্ত পেরিয়ে এসেছে। তাদের বাবা লিয়াকত আলী তাদের ওয়াঘা থেকে তুলে নেন।

তিনি জানান, তার শ্যালক হাসান আলী বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলতে ভারতে এসেছেন। ক্রিকেট দলের প্রটোকলের কারণে তিনি তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসতে পারেন না। বিশ্বকাপ ক্রিকেট শেষ হওয়ার পরে তিনি সামিয়ার বাড়িতে যাবেন এবং তার পরিবারের সকল সদস্যের সাথে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।