সংক্ষিপ্ত

এবারের আইপিএল নিলামে যে ক্রিকেটাররা বিপুল দর পেয়েছেন, তাঁদের অন্যতম বাংলার পেসার মুকেশ কুমার। তিনি এবার খেলবেন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে।

এবারের আইপিএল নিলামে সবাইকে চমকে দিয়ে সাড়ে ৫ কোটি টাকা পেয়েছেন বাংলার পেসার মুকেশ কুমার। তাঁকে দলে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। ২৯ বছর বয়সি এই পেসার অনেকদিন ধরেই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন। জাতীয় দলের হয়েও খেলার সুযোগ এসেছে। এবার আইপিএল-এও খেলার সুযোগ পেলেন এই পেসার। এবার তিনি বড় মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পাবেন। ২০২০ সালে বাংলার হয় রঞ্জি ট্রফি ফাইনাল খেলেছিলেন মুকেশ। সেবারের রঞ্জি ট্রফিতে তিনি ৩২ উইকেট নেন। কিন্তু তারপরেও এই পারফরম্যান্সেরে স্বীকৃতি মেলেনি। এতদিন পরে তাঁর সামনে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ এল। মোটা অঙ্কের অর্থ পাওয়ার পাশাপাশি প্রথমসারির ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলারও সুযোগ পাচ্ছেন মুকেশ। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি আরও ভাল খেলতে চান। ঋষভ পন্থ, পৃথ্বী শ-এর মতো ক্রিকেটারদের সঙ্গে একই দলে খেলে অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন মুকেশ। নিজের খেলা উন্নত করাই তাঁর লক্ষ্য।

শুক্রবার কোচিতে আইপিএল নিলামে মুকেশকে নিয়ে পাঞ্জাব কিংস, চেন্নাই সুপার কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে দর কষাকষি চলছিল। শেষপর্যন্ত সাড়ে ৫ কোটি টাকা দিয়ে এই পেসারকে দলে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। এত টাকা পেয়ে কেমন লাগছে? মুকেশ বলছেন, 'আমি সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছি। আমার মায়ের চিকিৎসায় এই টাকা কাজে লাগবে। আমার মায়ের ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে। তাঁর শরীর এখন ঠিক আছে কিন্তু যে কোনও সময় জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। যদি কখনও সেরকম কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে এই টাকাটা কাজে লাগবে। মায়ের অস্ত্রোপচার করাতে হলে আমি এই টাকা ব্যবহার করতে পারব।'

সম্প্রতি ভারতীয় এ দলের হয়ে ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন মুকেশ। ইরানি ট্রফিতে অবশিষ্ট ভারতীয় দলের হয়েও ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন এই পেসার। এই ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের সুবাদেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে ভারতীয় দলে সুযোগ পান মুকেশ। তিনি এবার আইপিএল-এ সুযোগ পেয়ে বাবার স্বপ্নপূরণ করেছেন।

২০১২ সালে কলকাতায় আসেন মুকেশ। তাঁর বাবা ট্যাক্সি চালাতেন। তিনি চাইতেন ছেলে সেনাবাহিনীতে যোগ দিন। কিন্তু মুকেশের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। ২০১৪ সালে সিএবি-র 'ভিশন ২০২০'-তে নজর কেড়ে নেন মুকেশ। এরপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। নিজের পারফরম্যান্সের মাধ্যমেই উন্নতি করেছেন এই ক্রিকেটার। পরিবারের আর্থিক অবস্থারও উন্নতি করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন-

টেনিস বল ক্রিকেট থেকে ৬০ লাখে হাত ধরলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের, কেমন ছিল অবিনাশ সিং মানহাসের রূপকথার সফর?

বেন স্টোকসকে দলে পেয়ে খুশি ধোনি, জানালেন চেন্নাই সুপার কিংসের সিইও

আইপিএল-এ ইতিহাস স্যাম কারানের, কোনও দলেই সুযোগ পেলেন না দাদা টম কারান