সংক্ষিপ্ত
এবারের আইপিএল শুরু হওয়ার আগে যত ক্রিকেটার চোট পেয়েছেন, সেটা এর আগে কোনওবার দেখা যায়নি। ক্রিকেটারদের চোটের কারণে বেশিরভাগ দলকেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
এবারের আইপিএল-এ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বোলিং বিভাগের অন্যতম ভরসা অস্ট্রেলিয়ার পেসার জশ হ্যাজেলউড। কিন্তু চোটের জন্য তিনি অন্তত ৭টি ম্যাচে খেলতে পারবেন না। ফলে সমস্যায় পড়ে গিয়েছে আরসিবি। ১৪ এপ্রিল ভারতে আসছেন হ্যাজেলউড। তাঁর ফিট হয়ে উঠতে এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ হয়ে যাবে। তারপর এই পেসারকে দলে রাখতে পারবে আরসিবি। ততদিন অন্যান্য পেসারদের নিয়েই খেলতে বাধ্য হবেন ফাফ ডু প্লেসি, বিরাট কোহলিরা। প্রথম ম্যাচে অনিশ্চিত অস্ট্রেলিয়ার তারকা অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। পা ভাঙার পর তিনি এখনও সম্পূর্ণ ফিট হয়ে উঠতে পারেননি। ফলে অস্ট্রেলিয়ার দুই তারকাকে বাদ দিয়েই প্রথম ম্যাচের দল সাজাতে হচ্ছে আরসিবি টিম ম্যানেজমেন্টকে। রবিবার প্রথম ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ানসের মুখোমুখি হবে আরসিবি। সম্পূর্ণ ফিট খেলোয়াড়দের নিয়েই সেই ম্যাচে জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপাতে চাইছে আরসিবি।
হ্যাজেলউড বলেছেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছু ঠিকমতোই চলছে। তবে পরবর্তী দু’সপ্তাহ কেমন যায় তার উপর অনেককিছু নির্ভর করছে। আমি ১৪ এপ্রিল ভারতে পৌঁছে যাব। তবে আমি হয়তো ভারতে পৌঁছেই ম্যাচ খেলতে পারব না। আমাকে তার জন্য তৈরি হতে হবে। আশা করি এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে আমি ম্যাচ খেলার জন্য তৈরি হয়ে যাব।'
চোটের জন্য ভারতের মাটিতে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির কোনও ম্যাচই খেলতে পারেননি হ্যাজেলউড। তবে চোট সারিয়ে অনেকটা ফিট হয়ে ওঠায় তিনি এবার আইপিএল-এ যতগুলি সম্ভব ম্যাচ খেলে অ্যাশেজের জন্য তৈরি হতে চাইছেন। এই পেসার বলেছেন, ‘টি-২০ ফর্ম্যাটে খুব বেশি ওয়ার্কলোড নিতে হয় না। শুধু নির্দিষ্ট গতিতে বোলিং করে যেতে হয় আর দ্রুত রান-আপে ফিরে যেতে হয়। আমাকে হয়তো দু-একবার অনুশীলনে পুরোমাত্রায় বোলিং করতে হবে। তাহলেই আমি ম্যাচ খেলার জন্য তৈরি হয়ে যাব। টেস্ট ম্যাচ তো বটেই, ওডিআই ক্রিকেটের সঙ্গেও টি-২০ ফর্ম্যাটের পার্থক্য আছে। পূর্ণ গতিতে মাত্র ২০টি বল করতে হয়। তাহলেই নিজের কাজ সারা হয়ে যায়। এটা টি-২০ ফর্ম্যাটের ভালো দিক।’
৩২ বছর বয়সি হ্যাজেলউড ভারতে আসার জন্য তৈরি হলেও, এখনও পর্যন্ত তিনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে অনুমতি পাননি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মেডিক্যাল টিম অনুমতি দিলে তবেই ভারতে আসতে পারবেন এই পেসার। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমি ধীরে ধীরে ফিট হয়ে উঠছি। আমাকে অ্যাশেজের জন্য তৈরি হতে হলে বোলিং করতে হবে। সেই কারণে আমার ম্যাচ খেলা দরকার।’
আরও পড়ুন-
ভারতের হয়ে ফের খেলতে তৈরি পৃথ্বী শ, মত সৌরভের
বিরাট কোহলির ১২ গুণ কম, সঞ্জু স্যামসনের অর্ধেক বেতন বাবর আজমের