সংক্ষিপ্ত

টানা ২ ম্যাচ হারের পর এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেল পাকিস্তান। রবিবার নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে দিলেন বাবর আজমরা।

ভারতের বিরুদ্ধে হারের পর আম্পায়ারিং নিয়ে অনেক জলঘোলা করেছিল পাকিস্তান। আম্পায়ার ভুল নো বল দেওয়াই ভারতীয় দল জয় পেয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছিল। কিন্তু জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধেও হারের পর আর কোনও অজুহাত খুঁজে পায়নি পাক সমর্থকরা। তখন থেকে শুরু হয়ে যায় বাবর আজম, মহম্মজ রিজওয়ান, শাহিন শাহ আফ্রিদিদের সমালোচনা। রবিবার নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর বোঝা গেল, পাকিস্তান দলকে যতটা ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে, তারা আদৌ ততটা শক্তিশালী নয়। এদিন পাকিস্তান জয় পেলেও, বড় কোনও অঘটন ছাড়া তাদের পক্ষে সেমি ফাইনালে যাওয়া সম্ভব নয়। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে পাকিস্তানের। দু'টি ম্যাচই সহজ হবে না। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা যে ফর্মে আছে, তাতে তাদের হারানো পাকিস্তানের পক্ষে বেশ কঠিন। তাই সুপার ১২ গ্রুপ ২ থেকেই বিদায় নিতে পারে পাকিস্তান।

নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে পাকিস্তান সহজ জয় পেলেও, ফের ব্যর্থ হলেন অধিনায়ক বাবর। তিনি মাত্র ৫ বল ক্রিজে থাকেন। তার মধ্যে একটি বাউন্ডারি মারেন। আর কোনও রান করতে পারেননি পাক অধিনায়ক। তিনি রান আউট হয়ে যান। এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত ৩ ম্যাচ খেলে মাত্র ৮ রান করেছেন বাবর। ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম বলেই কোনও রান না করে আউট হয়ে যান তিনি। এরপর জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে ৯ বল খেলে করেন মাত্র ৪ রান। সেই ৪ রান এসেছিল বাউন্ডারি থেকে। এরপর নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধেও একটি বাউন্ডারি মেরেই থেমে গেলেন বাবর। তাঁর এই অফ ফর্ম পাকিস্তানকে সমস্যায় ফেলছে।

এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় নেদারল্যান্ডস। তাদের এই সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হয়ে যায়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৯১ রান করেই থেমে যেতে হয় ডাচদের। সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন কলিন অ্যাকারম্যান। ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস করেন ১৫ রান। আর কোনও ব্যাটার ২ অঙ্কের রান করতে পারেননি। পাকিস্তানের হয়ে শাদাব খান ৩টি এবং মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন শাহিন, নাসিম শাহ ও হ্যারিস রউফ।

৯২ রানের টার্গেট যে কোনও দলের বিরুদ্ধেই কঠিন নয়। বিশেষ করে নেদারল্যান্ডসের মতো দুর্বল দলের বিরুদ্ধে তো নয়ই। কিন্তু সেই রান তুলতে গিয়েই সমস্যায় পড়ে যায় পাকিস্তান। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলতে গিয়ে তাদের ৪ উইকেট চলে যায়। দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে যান বাবর। ৩ নম্বরে ব্যাটিং করতে নামা ফকর জামানও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি। তিনি ১৬ বলে ২০ রান করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৩টি বাউন্ডারি। মহম্মদ রিজওয়ান করেন ৪৯ রান। শান মাসুদ করেন ১২ রান। ইফতিকার আহমেদ ৬ ও শাদাব খান ৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

আরও পড়ুন-

উত্তেজক ম্যাচে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ৩ রানে জয়, সেমি ফাইনালের লড়াই জমিয়ে দিল বাংলাদেশ 

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচেও বৃষ্টির আশঙ্কা, কী বলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস?

টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের সেমি ফাইনালে যাওয়ার অঙ্ক কী?