সংক্ষিপ্ত
- ভারতীয় কুস্তিতে উজ্জ্বল নাম গীতা ও ববিতা ফোগট
- এবার মহাবীর সিং ফোগটের পরিবারে শোকের ছায়া
- আত্মহত্যা করলেন গীতা ও ববিতা ফোগটের বোন
- রীতিকার আত্মহত্যার খবরে ক্রীড়া মহলে শোকের ছায়া
ভারতীয় তথা বিশ্ব কুস্তির ইতিহাসে উজ্জব্ল নাম 'ফোগট' পরিবার। মহাবীর সিং ফোগাটের দুই মেয়ে গীতা ও ববিতা ফোগটের দেশের নাম একাধিক বার উজ্জ্বল কেরছেন। ফোগট পরিবারের কথা উঠে এসেছিল আমির খান অভিনীত ‘দঙ্গল’ ছবিতে। কিন্তু এবার সেই পরিবারে নেমে এল শোকের ছায়া। কুস্তি প্রতিযোগিতার ফাইনালে আত্মহত্যা করলেন গীত ও ববিতা ফোগটের বোন রীতিকা ফোগট। রীতিকা ফোগট গীতা ও ববিরাত তুতো বোন ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১৭।
মহাবীর সিং ফোগটের কাছেই কুস্তির প্রশিক্ষণ নিতেন রীতিকা ফোগট। রাজস্থানের ভরতপুরে লোহাগড় স্টেডিয়ামে একটি কুস্তি টুর্নামেন্টের আসর বসেছিল। সেখানে রীতিকাও অংশ নেন। একের পর এক ম্য়াচ জিতে পৌছেছিলেন ফাইনালেও। প্রতিযোগিতার ফাইনাল ছিল ১৪ মার্চ। ফাইনাল দেখার জন্য স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন খোহ মহাবীর সিং ফোগটও। ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লডাইয়ের পর মাত্র ১ পয়েন্টের জন্য ফাইনালে হেরে যান রীতিকা। এই হারের পর থেকেই হতাশ হয়ে পড়ছিলেন রীতিকা।
পরিবার মারফত জানা গিয়েছে, ফাইনালে হারের পরই অবসাদে ভুগতে শুরু করেন রীতিকা। মানসিকভাবে প্রচন্ড ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। মহাবীর সিং ফোগট নিজে তার সঙ্গে কথা বলে মানসিকভাবে চাঙ্গা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কোনও কিছুতেই ঠিক হননি রীতিকা। অবশেষে জীবনের চরম সিদ্ধান্ত নেন তিনি। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। ঘটনায় ভেঙে পড়েছে গোটা ফোগট পরিবার। প্রতিভাবান এই কুস্তিগীরের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতের ক্রীড়া মহলে।